আয়েলা-র পর বুদ্ধকে মমতার মাস্টারস্ট্রোক-যাত্রা শুরু কান্ডারীর
তন্ময় চক্রবর্ত্তী, ১৪ই জুন২০০৯
পঞ্চদশ লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে প্রকাশিত তাদের ইস্তাহারে দীঘাকে গোয়া-র মতো পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তো্লার যে স্বপ্ন বাংলার মানুষকে দেখিয়েছিলেন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আজ হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু হল দীঘা যাবার দ্বিতীয় ট্রেন কান্ডারী এক্সপ্রেস-এর। ফ্ল্যাগ অফ করলেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, সঙ্গে ছিলেন তৃনমূলের বাকি ছয়জন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।কিন্তু দেখা পাওয়া গেলনা এ রাজ্যের শাসক দলের কোন প্রতিনিধির।
পূর্বে শালিমার থেকে একটি মাত্র ট্রেন দীঘা চলাচল করত প্রতি সপ্তাহ-র সোম থেকে শনিবার। যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা থাকার জন্য শালিমার থেকে ট্রেন ধরা প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ত যাত্রীদের কাছে।বেশীর ভাগ সময়ে যাত্রীদেরকে বাসেই যাতাযাত করতে হত, যা অনেকটা সময় সাপেক্ষ।
এই নতুন ট্রেনটির শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা-র ভাড়া ধার্য্য করা হয়েছে ২৬৩ টাকা এবং সাধারন কামরার ভাড়া ৭৫ টাকা।
দক্ষিনপূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে নিয়মিত প্রায় ১০০০ জন পর্যটক এই ট্রেন ব্যাবহার করবে। ফলে এর বানিজ্যিক সাফল্য নিয়ে তারা খুব একটা চিন্তিত নয়।
যাত্রীদের সুবিধার জন্য সুলভ মূল্যে সকালের ট্রেনটিতে থাকছে প্রাতরাশের ব্যবস্থাও।অপর আর একটি ট্রেন যে চলাচল করবে তার নাম রাখা হয়েছে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস।
আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনে মাননীয়া রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন যে ‘আমাদের যাত্রা শুরু হল। নতুন করে অনেক কিছু করবার আছে। আশা করছি, স্থানীয় প্রশাসনকে পাশে পাব।’
কান্ডারী এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে হাওড়া স্টেশনের ২২ নং প্ল্যাটফর্মে সাধারন মানুষের ঢল নেমেছিল ও তাদের উল্লাস ছিল চোখে পড়বার মতো।
রথযাত্রা উপলক্ষ্যেও যাত্রীদের জন্য বিশেষ ট্রেন-র ব্যবস্থা করবেন বলে ঘোষনা করেন রেলমন্ত্রী।
রাজনৈতিক মহলের মতে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলার মানুষের প্রত্যাশা পূরণের সঠিক পথেই পা রাখলেন তৃনমূল নেত্রী। উল্লেখ্য যে, গত ২৬ শে মে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল দপ্তরের দায়িত্ব গ্রহনের দিনই তিনি এই ট্রেনটি চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
লোকসভা ভোটে বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছিল যে তারা তৃনমূল নেত্রীর-ই পাশে।এবার সাধারন মানুষের পাশে থাকবার সময় মমতা দেবীর এবং তিনি যে পাশে আছেন বা থাকবেন তা তিনি বুঝিয়ে দিলেন।