Tuesday, June 30, 2009

মুসলিমরা কেন ঘৃণার পাত্র হচ্ছেন?


একটা ‘কেনরই’ উত্তর খুঁজতে চাইছি। উত্তর খুঁজতে চাইছি এমন একটা সময়ে যখন বিশ্বজুড়ে এক শ্রেণীর মানুষের টার্গেট হয়েছেন সংখ্যালঘুরা।

আবারও প্রশ্ন কেন? আসলে সংখ্যালঘুদের নিশানা বস্তু বানিয়ে নিজেদের ক্ষমতা জাহিরের সহজতম পথ। উদাহরণ? আফগানিস্থানে তালিবানদের বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, কিংবা ভারতের কাশ্মীরে কাশ্মীরি পন্ডিতদের হত্যা অথবা অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো।

নিট্‌ ফল কিছু মৃত্যু বা ক্ষয়-ক্ষতি। সেই সঙ্গে রেজাল্ট হল মুষ্টিমেয় স্বার্থপর, অবিবেচকদের জন্য মুসলিমদের প্রতি হিন্দুদের শ্রদ্ধাশীল মনোভাব ক্রমেই লোপ পাচ্ছে।

পুরুষশূণ্য গ্রাম- ভয় আতঙ্কে দিন কাটছে লালগড় বাসীর……


বাঁধগোড়া, আমডাঙ্গা, কৃষ্ণডাঙ্গা, কুকুরমুড়ি, বাঁশবেড়, মেলখেরিয়া- এগুলি লালগড়ের এক-একটি পৃথক পৃথক গ্রাম। তবে পৃথক হলেও যৌথবাহিনীর অভিযানের পর তাদের মধ্যে একটাই মিল চোখে পড়ছে- সব পুরুষই উধাও সেই গ্রামগুলিতে। বাড়ি পর বাড়ি বন্ধ। রয়েছে বৃদ্ধা এবং শিশুকোলে কয়েকজন মহিলা।

তবে প্রশ্ন হল পুরুষরা গেল কোথায়? উত্তর পাওয়া গেল সেই বৃদ্ধা ও মহিলাদের কাছ থেকে। তাদের কথায়, ‘ছেলেরা থাকলে কি পিঠের চামড়া থাকবে। তবে পুলিশ তো বলেছে নির্ভয়ে থাকতে। পুলিশ নির্ভয়ে থাকতে বললেও পুলিশে আস্থা বা বিশ্বাস বস্তুটার অস্তিত্ব অন্তত লালগড়ে টের পাওয়ার উপায় নেই। লালগড়ের বিভিন্ন জায়গায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং পুলিশের অভব্য আচরণই তার একমাত্র কারণ। কয়েকদিন পূর্বে পাথরভাঙার মনোরঞ্জন নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে টেনে বার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম করে থানায় নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। শেষে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাকে পাঠানো হয় জেলে।

একদিকে স্বামীর কোন খবর নেই অন্যদিকে থাকতে দেওয়া হচ্ছেনা ত্রাণ শিবিরেও। কি করবে তাই ভেবে আকুল তারা।

বাড়ির পুরুষদের নাম বলতেও তাই সবাই গররাজি।আবার কেউ জানেননা তাদের স্বামী বা পুত্র কোথায় আছে।

সবকিছুর মূলেই আতঙ্ক। তবে মাওবাদীদের নয়, যৌথবাহিনীর আতঙ্ক এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে লালগড়ের মানুষকে। যৌথবাহিনীর অভিযানেও অবস্থা পাল্টায়নি।এবারেও তাই বলি হতে হচ্ছে সেই সাধারণ মানুষকেই।

বলরামপুরে সিপিএম নেতা দল ছড়তে বাধ্য হলেন………



লালগড় থেকে কাঁটাপাহাড়ি সর্বএই স্বাভাবিক চেহারার ছবি। সৌজন্যে, যৌথবাহিণীর অভিযান। উপর্যুপরি,রবিবার গোয়ালতোড়ে বের হয়েছে সি পি এম সমর্থকদের বাইক মিছিল। খুশীর হাওয়া কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে চিত্রটি কি তাই। না! বলরামপুরের সি পি এম জোনাল কমিটির সদস্য বদ্ধেশ্বর সিং সর্দারের রীতিমতো লিফলেট ছাপিয়ে দল ছাড়ার ঘটনা কিন্তু অন্য কথাই বলছে। “আমি বুদ্ধেশ্বর সিং সর্দার। পিতা স্বর্গীয় মেঘনাদ সিং সর্দার। গ্রাম মালতী, বিশেষ পরিস্থিতিতে সি পি এমের সমস্ত রকম দলীয় পদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদ পরিত্যাগ করলাম। এই দলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক রইলনা”।–এটি লেখা ছিল দলত্যাগের পর বলরামবাবুর দরজার সামনে। লেখা ছিলনা যা তা হল----বলরামপুরের মালতীগ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধেশ্বর সিং মাওবাদীদের নির্দেশে সি পি এম ছাড়লেন। না ছাড়লে প্রাণনাশ, এই হুমকিও দেওয়া হয়। তার পরই বদলে যায় সবকিছু। বউ-বাচ্চা নিয়ে সাধারণ জীবন কাটাতে লিফলেট ছাপিয়ে দল ছাড়লেন তিনি। ১৯৮৫ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধ্যক্ষ এবং, ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। তৎসত্বেও দল ছাড়তে বাধ্য হলেন তিনি।

নতুন দশটি রাজ্য গঠনের ব্যপারে ভাবনাচিন্তা করছে স্বারষ্ট্রমন্ত্রক ………


শুধুমাত্র দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করাই সদ্য গঠিত ইউ পি এ সরকারের কাছে এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ নয়, সরকারের কাছে বিবেচনার জন্যে পড়ে থাকা দশটি পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি নিয়েও তাদের ভাবতে হচ্ছে।

প্রস্তাব নং এক---পশ্চিমবঙ্গের গোর্খাল্যান্ড। দার্জিলিং জ়েলার পার্বত্য পরিষদ এলাকা পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি তিন দশকের পুরনো। ঘিসিঙ-এর পর এই আন্দোলনের রাশ এখন জি জ়ে এম সুপ্রিমো বিমল গুরুং-এর হাতে।।

দুই--- উত্তরবঙ্গ ও অসমের একাংশ নিয়ে গ্রেটার কোচবিহার রাজ্য গঠনের দাবিও এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।

তিন--- উত্তর বিহারের কয়কটি জ়েলা বিচ্ছিন্ন করে গঠন করতে হবে নতুন রাজ্য মিথিলাঞ্চল।

চার--- পূর্ব-উত্তরপ্রদেশ,উত্তর-পশ্চিম বিহার এবং ছত্রিশগড়ের উত্তর-পূর্বাংশ নিয়ে আলাদা ভোজপুর রাজ্য তৈরির সনদও পেশ করা হয়েছে নয়া দিল্লীতে।

পাঁচ--- উত্তরপ্রদেশে ও মধ্যপ্রদেশের সীমান্তবর্তী বুন্দেলখন্ড এলাকায় পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি।

ছয়--- বান্দা, ঝাঁসি,ললিতপুর,চিত্রকূট,সাগর প্রভৃতি কয়কটি জ়েলা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি।

সাত--- পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি জ়েলা নিয়ে কিষাণপ্রদেশ রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি। নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় লোকদল সভাপতি অজিত সিং।

আট--- মহারাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে আলাদা বিদর্ভ রাজ্য গঠনের দাবি নিয়ে আন্দোলন।

নয়--- অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেঙ্গানা অঞ্চল নিয়ে নতুন রাজ্য তৈরির দাবিতে আন্দোলন। নেতৃত্বে কে চন্দ্রশেখর রাও-এর তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি।

দশ--- আবার ফিরে সেই পশ্চিমবঙ্গেই। দাবি পৃথক কামতাপুর রাজ্যের।

এতগুলি প্রস্তাব- দায়িত্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার উপরে। অসম্ভব! তাই দরকার পৃথক রাজ্য পুর্ণগঠন কমিশন-এটিই সাময়িক সমাধানসুত্র। কি করবে কেন্দ্রীয়সরকার। আমরা তাকিয়ে সেইদিকে।

Monday, June 29, 2009

নন্দন নিলেকানির হাত ধরে বদলে যাবে ভারত......


ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিবিদ নন্দন নিলেকানির মাধ্যমে প্রতিটি ভারতবাসীর চিহ্নিতকরন কার্ড তৈরী হবে। দেশের সমস্ত নাগরিকের তথ্যাবলী চিহ্নিতকরন কার্ডের মাধ্যমে মজুত থাকবে সরকারের কাছে। গোটা প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে তিন বছরে। উদ্যোগী প্রযুক্তিবিদ নন্দন নিলেকানি ইনফোসিসের প্রাক্তন অধিকর্তা। প্রধাণমন্ত্রী মনমোহন সিংহের একান্ত ইচ্ছায় নন্দন নিলেকানি গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্ব নিয়েছেন। পদমর্যাদায়, তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মতো ক্ষমতা ভোগ করবেন। নিলেকানির মতো প্রযুক্তিবিদের নিয়োগ নতুন ধারণার জন্ম দিচ্ছে। কোন রাজনীতিবিদ বা আমলা না হয়েও নিলেকানিকে দেশের নাগরিকদের চিহ্নিতকরন কার্ড প্রকল্পের অধিকর্তা করা হয়েছে।

এই প্রকল্প রুপায়িত হলে অনুপ্রবেশ সমস্যার অনেক সমাধান হবে।দেশের অভ্যন্তরীন সুরক্ষা অনেকটা নিশ্চিত হবে। সবচেয়ে বড় কথা বিদেশের পাঠানো অর্থ সাহায্য দেশের গরীব মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের আর্থিক অবস্থা সহ নানা বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করবে এই প্রকল্প।

৫৪ বছর বয়সী নন্দন নিলেকানির নেতৃত্বে চিহ্নিতকরন কার্ড তৈরী হলে এটি আমেরিকার সামাজিক নিরাপত্তা কার্ডের সমতুল্য হবে।

অধিকারের স্বীকৃতি -মেয়েরাও খেলবে সৌদি আরবে.........


ছেলেদের মতো তারাও কেন বিদ্যালয়ে খেলাধূলা করতে পারেনা-এটাই ছিল আরবী মেয়েদের কাছে প্রশ্ন এবং অবশ্যই মন খারাপের বিষয়। কিন্তু তাদের এই মন খারাপ থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছেন রাজকুমার স্বয়ং।

এতদিন সেখানকার মেয়েরা অলিম্পিকের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতাতেও অংশগ্রহণ করতে পারতনা। ইসলামিক দেশ হিসাবে খেলাধূলার মতো গাড়ি চালানো, ভোটদানেও তাদের বাধা রয়েছে।

উল্লেখ্য, নিষেধ অমান্য করে পূর্বে অনেক মহিলারাই বাস্কেটবল, ফুটবল, ভলিবলের মত অনেক খেলাতেই অংশগ্রহণ করেছে।

কয়েকদিন পূর্বে রাজকুমারী আদিলা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেয়েদের বিদ্যালয়ে খেলাধূলা চালু করতে সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন।

এর জন্য ইতিমধ্যেই অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছে। রাজকুমার খালিদ গত সপ্তাহে জেড্ডায় এই নিয়ে এক প্রজেক্ট-এ বলেন যে দেশকে খেলাধূলা ও সংস্কৃতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে এর স্বীকৃতি আবশ্যক।

আরবী এক সংবাদপত্রে প্রকাশ যে, একটি ছোট মেয়ে রাজকুমার কে তাদের না খেলতে পারা নিয়ে অভিযোগ জানালে তিনি তাকে আশ্বাস দেন যে খুব শীঘ্রই তারাও বিদ্যালয়ে ছেলেদের মতই খেলতে পারবে।

পুরভোটে পরাজয়ের আশংকায় বামফ্রণ্ট………


পুরভোটেও পরাজয়ের শঙ্কায় ব্যপক সন্ত্রাসের পথই বেছে নিল সিপিএম। কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও মহেশতলা, সোনারপুর-রাজপুর, কুলটি, আসানসোল, দমদমে চলেছে সিপিএমের সশস্ত্র ক্যাডারদের ভয়াবহ তান্ডব। এছাড়াও চলেছে ছাপ্পা ভোটের প্রচেষ্টা। মহেশতলার তিন নম্বর ওয়ার্ডে ব্যপক বোমাবাজি হয়।এই জায়গা গুলিতে সাধারণ মানুষ সিপিএমের আক্রমণ ও বুথ দখলের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। অনেক ওয়ার্ডে ভোটের আগের দিন থেকেই সিপিএম তথা বামফ্রণ্ট বহিরাগতদের জড়ো করেছিল। ভোট শুরু হতে না হতেই তারা বিরোধী সমর্থকদের মারধোর এবং এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা ভোটের কাজ শুরু করে দিয়েছিল। এছাড়াও দক্ষিণ দমদমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সকাল এগারোটা নাগাদ তৃণমূল এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে বেধড়ক মারধোর করা হয়।

১৯ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুলিশ যথাক্রমে চার ও তিন জন সিপিএম এর বহিরাগতকে গ্রেপ্তার করেছে।

তবে বেশ কিছু জায়গায় বিরোধীরা সিপিএমের সন্ত্রাস প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছে। তাই তাদের সন্ত্রাস সত্বেও কোথাও ৭০ শতাংশ আবার কোথাও ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচণপর্ব মিটে যাওয়ার পর শাসকদলের নেতাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকেই পরিষ্কার, পুরভোটেও জোরদার ধাক্কা খাওয়ার আশংকা করছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা। নিজেদের কু-কীর্তি ঢাকতে ও বিরোধী সমর্থকদের উপর সন্ত্রাস কায়েম রাখতে সিপিএম আজ দক্ষিণ দমদমের ঘুঘুডাঙ্গাতে বারো ঘন্টার বন্ধ ডেকেছে।

সমকামীদের স্বীকৃতি চিদাম্বরমের......


ভারতে সমকামীদের সম্পর্ক আইনসিদ্ধ করার উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের এই উদ্যোগ-এর পরই একদিকে যেমন চোখে পড়ছে আনন্দ আর অন্যদিকে তীব্র ক্ষোভ।
সমকামীরা যেমন একদিকে আনন্দে মিছিল করছে অপরদিকে ‘দেশ রসাতলে গেল’ বলে রোষে ফেটে পড়ছেন কিছু ধর্মীয় নেতা।
ভারত স্বাধীন হওয়ার অনেক আগে থেকেই এদেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ এবং অপরাধ হিসাবে গণ্য করে আসা হয়েছে। এখনও হয়, কিন্তু এই প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা প্রত্যাহার করা হবে। আই পি সির এই ধারায় স্পষ্ট বলা রয়েছে সমকামিতা অপরাধমূলক কাজ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলছে এটা ভারতের সংস্কৃতি এবং পরিবার ব্যবস্থার বিরোধী। গোঁড়া মুসলিম সংগঠন জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ এর মতে এর ফলে দেশে যৌন নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। এছাড়াও উল্লেখ্য শিবরাজ পাটিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সমকামীদের সম্পর্ক বৈধ করার ঘোর বিরোধী ছিলেন। তবে, প্রশ্ন হল চিদাম্বরম কেন এ নিয়ে এত আগ্রহী। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দক্ষিণে আগাগোড়াই সমকামীদের অপরাধ চোখে দেখা হয়না এবং সেই দর্শনের প্রভাবই হয়তো তার এই উদ্যোগের মধ্যে ধরা পড়ছে।
সরকার-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা এ বিষয়ে কোন তাড়াহুড়ো করবেনা। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি জানালেন যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমকামিতা প্রসঙ্গে সমস্ত জাতি ও ধর্মের গোঁড়ামির দিকটাও খতিয়ে দেখবেন তার।
দেশের মানুষ কাজ চায়। সরকার নজর দিক সেই দিকে। সমকামীদের নিয়ে নজর খোয়ানোর চেষ্টা হলে দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া হবে বলাইবাহুল্য।

Sunday, June 14, 2009

গুগল-এর সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ....

কি বোর্ডে কয়েকটি ক্লিক করেই যদি জানা যায় খাওয়ার পাতের খবর থেকে চলচ্চিত্রের নানা খবর বা পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রভাবশালী কোম্পানীর খবরাখবর তাহলে ব্যবহার করেই দেখা যায় uk-র বিজ্ঞানী স্টিফেন উলফ্রাম-র সৃষ্ট নতুন কম্পিউটার ‘সার্চ ইঞ্জিন’টি। জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছে এটা সুখবর হলেও আর এক বিখ্যাত ‘সার্চ-ইঞ্জিন’ গুগলের কাছে এটা চ্যালেঞ্জেরই সমান, এমনই অভিমত বিজ্ঞানীদের। কানপুরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট-র কম্পিউটার বিজ্ঞানী অর্ণব ভট্টাচার্য জানালেন দ্রুত কিছু জানার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যেতেই পারে।এই নতুন ‘সার্চ ইঞ্জিনটি’ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিজিক্স-র প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে ‘উলফ্রাম রিসাক’ কোম্পানীর অধিকর্তার মস্তিষ্ক প্রসূত সফটওয়্যার ‘ম্যাথামেটিকা’ ব্যবহার করে।বিজ্ঞান, প্রযুক্তির থেকে শুরু করে অর্থনীতি সংস্কৃতি,খেলাধূলো,ইতিহাস,ভূগোল, প্রতিটি বিষয়েই এর অবাধ বিচরণ, জানালেন অর্ণব ভট্টাচার্য।এই সার্চ ইঞ্জিনটি খুঁজে পেতে হলে টাইপ করতে হবে http://www.wolframalpha.com। প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকা এই ইঞ্জিনটিতে ‘শোলে’ এই শব্দটি টাইপ করলে ১৯৭৫ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত এই বিখ্যাত চলচ্চিত্রটির মুক্তির দিন,চরিত্র সবই পাওয়া যাবে।পরিপূর্ণতা,প্রযুক্তি সব দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা সত্যিই কি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল সবার মন কেড়ে নেওয়া ‘গুগল’কে?? আবার কি ইয়াহুকে ছেড়ে নতুন এই প্রতিযোগী কে নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল গুগল অধিকর্ত??

আয়েলা-র পর বুদ্ধকে মমতার মাস্টারস্ট্রোক-যাত্রা শুরু কান্ডারীর

আয়েলা-র পর বুদ্ধকে মমতার মাস্টারস্ট্রোক-যাত্রা শুরু কান্ডারীর
তন্ময় চক্রবর্ত্তী, ১৪ই জুন২০০৯

পঞ্চদশ লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে প্রকাশিত তাদের ইস্তাহারে দীঘাকে গোয়া-র মতো পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তো্লার যে স্বপ্ন বাংলার মানুষকে দেখিয়েছিলেন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আজ হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু হল দীঘা যাবার দ্বিতীয় ট্রেন কান্ডারী এক্সপ্রেস-এর। ফ্ল্যাগ অফ করলেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, সঙ্গে ছিলেন তৃনমূলের বাকি ছয়জন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।কিন্তু দেখা পাওয়া গেলনা এ রাজ্যের শাসক দলের কোন প্রতিনিধির।
পূর্বে শালিমার থেকে একটি মাত্র ট্রেন দীঘা চলাচল করত প্রতি সপ্তাহ-র সোম থেকে শনিবার। যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা থাকার জন্য শালিমার থেকে ট্রেন ধরা প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ত যাত্রীদের কাছে।বেশীর ভাগ সময়ে যাত্রীদেরকে বাসেই যাতাযাত করতে হত, যা অনেকটা সময় সাপেক্ষ।
এই নতুন ট্রেনটির শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা-র ভাড়া ধার্য্য করা হয়েছে ২৬৩ টাকা এবং সাধারন কামরার ভাড়া ৭৫ টাকা।
দক্ষিনপূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে নিয়মিত প্রায় ১০০০ জন পর্যটক এই ট্রেন ব্যাবহার করবে। ফলে এর বানিজ্যিক সাফল্য নিয়ে তারা খুব একটা চিন্তিত নয়।
যাত্রীদের সুবিধার জন্য সুলভ মূল্যে সকালের ট্রেনটিতে থাকছে প্রাতরাশের ব্যবস্থাও।অপর আর একটি ট্রেন যে চলাচল করবে তার নাম রাখা হয়েছে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস।
আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনে মাননীয়া রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন যে ‘আমাদের যাত্রা শুরু হল। নতুন করে অনেক কিছু করবার আছে। আশা করছি, স্থানীয় প্রশাসনকে পাশে পাব।’
কান্ডারী এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে হাওড়া স্টেশনের ২২ নং প্ল্যাটফর্মে সাধারন মানুষের ঢল নেমেছিল ও তাদের উল্লাস ছিল চোখে পড়বার মতো।
রথযাত্রা উপলক্ষ্যেও যাত্রীদের জন্য বিশেষ ট্রেন-র ব্যবস্থা করবেন বলে ঘোষনা করেন রেলমন্ত্রী।
রাজনৈতিক মহলের মতে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলার মানুষের প্রত্যাশা পূরণের সঠিক পথেই পা রাখলেন তৃনমূল নেত্রী। উল্লেখ্য যে, গত ২৬ শে মে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল দপ্তরের দায়িত্ব গ্রহনের দিনই তিনি এই ট্রেনটি চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
লোকসভা ভোটে বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছিল যে তারা তৃনমূল নেত্রীর-ই পাশে।এবার সাধারন মানুষের পাশে থাকবার সময় মমতা দেবীর এবং তিনি যে পাশে আছেন বা থাকবেন তা তিনি বুঝিয়ে দিলেন।

Friday, June 12, 2009

নক্সাল আন্দোলন গরীবদের জন্য নাকি ১৫০০ কোটি টাকার তোলাবাজি তোলার জন্য.........।

তন্ময় চক্রবর্তী,কলকাতা,১২ই জুন'০৯
সাধারণ মানুষের আন্দোলন হিসাবে পরিচিত নক্সাল আন্দোলন এখন হয়ে উঠেছে ১৫০০ কোটি টাকার তোলাবাজির ব্যবসা, জানালেন পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা।
আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার চেয়েও মাওবাদী এবং নক্সালদের এখন লক্ষ্য তাদের ওপর ওয়ালাদের জাঁক জমকপূর্ণ জীবনযাত্রা বজায় রাখা।
সম্প্রতি পুলিশবাহিনী নক্সালদের ঘাঁটি থেকে তাদের সাহিত্য ও নানা তথ্যাদি আটক করেছে। যাতে প্রতিবছর তাদের ১০০ কোটি টাকার তোলাবাজি থেকে আয়ের সত্যকাহিনী ফাঁস হয়েছে।
শুধুমাত্র ঠিকাদাররাই নয় নক্সাল প্রভাবিত এলাকায় প্রভাবশালী শিল্পপতিরাও তাদের তোলাবাজির স্বীকার হয়। এমন তথ্যই এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
ঝাড়খন্ড, ছত্রিশগড়,অন্ধ্রপ্রদেশ,উড়িষ্যা,বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রের মতো সাতটি নক্সাল প্রভাবিত এলাকায় তাদের তোলাবাজির পরিমান প্রায় বছরে ১,৫০০ কোটি টাকা।
শুধুমাত্র তোলাবাজি নয় অপহরন,লুঠতরাজ তাদের আন্দোলনের এখন মূল অঙ্গ । ঠিকাদারদের থেকে বড় কোন সেতুর প্রকল্পের মোট খরচের দশ শতাংশ তারা তোলা হিসাবে আদায় করে এবং ছোট প্রকল্পের জন্য পাঁচ শতাংশ আদায় করে।
‘পিপলস লিবারেশন টাইগারস’-যার পূ্রোনো নাম
‘ঝাড়খন্ড লিবারেশন টাইগারস-এর মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে শুধুমাত্র দুস্কৃতি তৈরি করা। তাদের আদর্শ বলে কিছু নেই, জানালেন ঝাড়খন্ড এর সি আর পি এফ র ডি আই জি অলোক রাজ। আশ্চর্য জনক ভাবে মাঝে মাঝে নক্সালদের আর জোর করে তোলা আদায় করতে হয় না বরং ঠিকাদাররাই স্ব-ইচ্ছায় তাদের টাকা দিয়ে দেয়।ঝাড়খন্ড পুলিশের প্রধান ভিডি রাম বলেন যে ঠিকাদাররা নক্সালদের তাদের তৈরি করা পথ নিজেরাই উড়িয়ে দিতে বলেন। কারন নিকৃষ্ট মানের উপকরন দিয়ে তৈরি করা প্রকল্প যাতে কোনদিন সরকারী তদন্তের স্বীকার না হয়। শুধু লুঠতরাজ,অপহরন, তোলাবাজিই নয় উত্তর-পূর্বে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামের গ্রাম বাসীদের আফিম জাতীয় মাদক দ্রব্য উৎপাদনেও তারা উত্সাহিত করে।