
পুরভোটেও পরাজয়ের শঙ্কায় ব্যপক সন্ত্রাসের পথই বেছে নিল সিপিএম। কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও মহেশতলা, সোনারপুর-রাজপুর, কুলটি, আসানসোল, দমদমে চলেছে সিপিএমের সশস্ত্র ক্যাডারদের ভয়াবহ তান্ডব। এছাড়াও চলেছে ছাপ্পা ভোটের প্রচেষ্টা। মহেশতলার তিন নম্বর ওয়ার্ডে ব্যপক বোমাবাজি হয়।এই জায়গা গুলিতে সাধারণ মানুষ সিপিএমের আক্রমণ ও বুথ দখলের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। অনেক ওয়ার্ডে ভোটের আগের দিন থেকেই সিপিএম তথা বামফ্রণ্ট বহিরাগতদের জড়ো করেছিল। ভোট শুরু হতে না হতেই তারা বিরোধী সমর্থকদের মারধোর এবং এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা ভোটের কাজ শুরু করে দিয়েছিল। এছাড়াও দক্ষিণ দমদমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সকাল এগারোটা নাগাদ তৃণমূল এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে বেধড়ক মারধোর করা হয়। ১৯ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুলিশ যথাক্রমে চার ও তিন জন সিপিএম এর বহিরাগতকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে বেশ কিছু জায়গায় বিরোধীরা সিপিএমের সন্ত্রাস প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছে। তাই তাদের সন্ত্রাস সত্বেও কোথাও ৭০ শতাংশ আবার কোথাও ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচণপর্ব মিটে যাওয়ার পর শাসকদলের নেতাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকেই পরিষ্কার, পুরভোটেও জোরদার ধাক্কা খাওয়ার আশংকা করছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা। নিজেদের কু-কীর্তি ঢাকতে ও বিরোধী সমর্থকদের উপর সন্ত্রাস কায়েম রাখতে সিপিএম আজ দক্ষিণ দমদমের ঘুঘুডাঙ্গাতে বারো ঘন্টার বন্ধ ডেকেছে।
No comments:
Post a Comment