

তবে প্রশ্ন হল পুরুষরা গেল কোথায়? উত্তর পাওয়া গেল সেই বৃদ্ধা ও মহিলাদের কাছ থেকে। তাদের কথায়, ‘ছেলেরা থাকলে কি পিঠের চামড়া থাকবে। তবে পুলিশ তো বলেছে নির্ভয়ে থাকতে। পুলিশ নির্ভয়ে থাকতে বললেও পুলিশে আস্থা বা বিশ্বাস বস্তুটার অস্তিত্ব অন্তত লালগড়ে টের পাওয়ার উপায় নেই। লালগড়ের বিভিন্ন জায়গায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং পুলিশের অভব্য আচরণই তার একমাত্র কারণ। কয়েকদিন পূর্বে পাথরভাঙার মনোরঞ্জন নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে টেনে বার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম করে থানায় নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। শেষে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাকে পাঠানো হয় জেলে।
একদিকে স্বামীর কোন খবর নেই অন্যদিকে থাকতে দেওয়া হচ্ছেনা ত্রাণ শিবিরেও। কি করবে তাই ভেবে আকুল তারা।
বাড়ির পুরুষদের নাম বলতেও তাই সবাই গররাজি।আবার কেউ জানেননা তাদের স্বামী বা পুত্র কোথায় আছে।
সবকিছুর মূলেই আতঙ্ক। তবে মাওবাদীদের নয়, যৌথবাহিনীর আতঙ্ক এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে লালগড়ের মানুষকে। যৌথবাহিনীর অভিযানেও অবস্থা পাল্টায়নি।এবারেও তাই বলি হতে হচ্ছে সেই সাধারণ মানুষকেই।
No comments:
Post a Comment