তন্ময় চক্রবর্তী,কলকাতা,১২ই জুন'০৯
সাধারণ মানুষের আন্দোলন হিসাবে পরিচিত নক্সাল আন্দোলন এখন হয়ে উঠেছে ১৫০০ কোটি টাকার তোলাবাজির ব্যবসা, জানালেন পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা।
আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার চেয়েও মাওবাদী এবং নক্সালদের এখন লক্ষ্য তাদের ওপর ওয়ালাদের জাঁক জমকপূর্ণ জীবনযাত্রা বজায় রাখা।
সম্প্রতি পুলিশবাহিনী নক্সালদের ঘাঁটি থেকে তাদের সাহিত্য ও নানা তথ্যাদি আটক করেছে। যাতে প্রতিবছর তাদের ১০০ কোটি টাকার তোলাবাজি থেকে আয়ের সত্যকাহিনী ফাঁস হয়েছে।
শুধুমাত্র ঠিকাদাররাই নয় নক্সাল প্রভাবিত এলাকায় প্রভাবশালী শিল্পপতিরাও তাদের তোলাবাজির স্বীকার হয়। এমন তথ্যই এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
ঝাড়খন্ড, ছত্রিশগড়,অন্ধ্রপ্রদেশ,উড়িষ্যা,বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রের মতো সাতটি নক্সাল প্রভাবিত এলাকায় তাদের তোলাবাজির পরিমান প্রায় বছরে ১,৫০০ কোটি টাকা।
শুধুমাত্র তোলাবাজি নয় অপহরন,লুঠতরাজ তাদের আন্দোলনের এখন মূল অঙ্গ । ঠিকাদারদের থেকে বড় কোন সেতুর প্রকল্পের মোট খরচের দশ শতাংশ তারা তোলা হিসাবে আদায় করে এবং ছোট প্রকল্পের জন্য পাঁচ শতাংশ আদায় করে।
‘পিপলস লিবারেশন টাইগারস’-যার পূ্রোনো নাম
‘ঝাড়খন্ড লিবারেশন টাইগারস-এর মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে শুধুমাত্র দুস্কৃতি তৈরি করা। তাদের আদর্শ বলে কিছু নেই, জানালেন ঝাড়খন্ড এর সি আর পি এফ র ডি আই জি অলোক রাজ। আশ্চর্য জনক ভাবে মাঝে মাঝে নক্সালদের আর জোর করে তোলা আদায় করতে হয় না বরং ঠিকাদাররাই স্ব-ইচ্ছায় তাদের টাকা দিয়ে দেয়।ঝাড়খন্ড পুলিশের প্রধান ভিডি রাম বলেন যে ঠিকাদাররা নক্সালদের তাদের তৈরি করা পথ নিজেরাই উড়িয়ে দিতে বলেন। কারন নিকৃষ্ট মানের উপকরন দিয়ে তৈরি করা প্রকল্প যাতে কোনদিন সরকারী তদন্তের স্বীকার না হয়। শুধু লুঠতরাজ,অপহরন, তোলাবাজিই নয় উত্তর-পূর্বে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামের গ্রাম বাসীদের আফিম জাতীয় মাদক দ্রব্য উৎপাদনেও তারা উত্সাহিত করে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment