

বৈদিক ভিলেজকে জমি লিজ দেওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজের হাতে তৈরি আইনও ভেঙ্গেছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। ২০০৫ সালে তিনি ১৯৫৫ সালের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আইন সংশোধন করে ৪-সি ধারায় নতুন একটি উপধারা যুক্ত করেছিলেন।
সেই উপধারায় বলা হয়, সরকারের অনুমতি ছাড়া জমির চরিত্র বদল করে তাতে ঘর-বাড়িসহ কোন ধরনের নির্মাণ কাজ হলে তা ভেঙ্গে দিয়ে সেই জমিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক জমির মালিকের প্রতি এই নির্দেশ জারী করবেন বলেও জানানো হয়।তখন এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়েছিলেন ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরাই।কিন্তু বৈদিক ভিলেজের ক্ষেত্রে এই ধারাটি কার্যকর করা হলনা কেন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আইনের ঐ ধারাটি ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি জারী করে ঐ বছরেরই ১লা ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে কার্যকর করা হয়। অন্যদিকে, বৈদিক ভিলেজকে ৪৪ একর খাস জমি লিজ দেওয়ার জন্য রেজ্জাক মোল্লার দপ্তরের চুক্তি হয় ২০০৬ সালের ১১ই মে।
ভূমি সংস্কার আইনের ৪-সি ধারা অনুযায়ী ভূমি দপ্তরের অনুমতি ছাড়া জমির চরিত্র বদল শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই আইন ভাঙ্গলে ৩ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কিন্তু কি করে রিসর্ট করার জন্য নিয়ম ভেঙ্গে জলের দরে বৈদিক ভিলেজ জলের দরে জমি পেয়ে গেল? তাহলে কি নিজের হাতেই নিজের গড়া নিয়ম ভেঙ্গেছেন রেজ্জাক সাহেব।