Saturday, September 5, 2009

থিম নয়-কল্যানমূলক কাজই লক্ষ্য অনেক পূজো কমিটির......


সমাজ কল্যাণকর কাজে এবার এগিয়ে আসছে কলকাতার অসংখ্য পূজো কমিটি। এই উৎসব যে শুধুমাত্র আনন্দোৎসব নয় সে কথাও বলছেন তারা। তাই এই আনন্দের দিনগুলিতে শুধুমাত্র নিজেরাই আনন্দে না কাটিয়ে তাতে যুক্ত করতে চাইছেন দুঃস্থ দরিদ্র মানুষজনকেও। যেমন বেহালার স্টেট ব্যাঙ্ক পূজ়ো কমিটির পক্ষে এক সদস্য জানালেন যে , “আলাদা কোনও থিম নিয়ে দর্শক টানায় বিশ্বাসী নই আমরা শারদোৎসবের আন্তরিকতা ও সকলের অংশগ্রহনেই আমরা এই পূজোয় সাফল্য লাভ করব।” এর পাশাপাশি দুঃস্থ মানুষদের সহায়তার জন্য বেশকিছু কর্মসূচি রাখছেন, সমাজকল্যানমূলক কাজে প্রতি বছরই আলাদা ভূমিকা থাকে বলে জানিয়েছেন অজয়বাবু।

যাত্রা শুরু হল ভারত-বাংলাদেশ মালবাহী বাণিজ্যিক ট্রেনের......




রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ডানকুনি স্টেশনকে ফ্রেড টার্মিনাল স্টেশন হিসাবে আখ্যা দেওয়ার পরই শুরু হয়ে গেল ভারত-বাংলাদেশ মালবাহী ট্রেন চলাচল।
উল্লেখ্য লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেসের শুভ সূচনা হয়েছিল। দুদেশই বাড়িয়ে দিয়েছিল বন্ধুত্বের হাত। আর সেই বন্ধুত্বের হাত কে আরও শক্ত করল মালবাহী এই ট্রেন চলাচল।
ডানকুনি টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশ যাবে প্রতিমাসিক হিসাবে গড়ে ২০টি মালবাহী ট্রেন। যা থকে রেলের আয়ও যা বাড়বে তা বলাইবাহুল্য। এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই টার্মিনালে প্রতিদিন প্রায় ৭-৮টি মালগাড়ি একইসঙ্গে লোডিং-আনলোডিং হতে পারে। ডানকুনি স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন ম্যানেজারের কথায় মুঘলসরাই-এর পর ডানকুনি টার্মিনালই গোটা দেশের মধ্যে অন্যতম। রেল এই টার্মিনাল থেকে প্রতিমাসে দেড় কোটি টাকা আয় করে।
পূর্ব রেলওয়ে মেনস কংগ্রেস ইউনিয়নের বি তিওয়ারি জানালেন, ‘আমরা রেলকর্মীরা অত্যন্ত আনন্দিত এই ভেবে যে, বাণিজ্যিক দিক থেকে সমঝোতার বন্ধনে দুই দেশকে বেঁধে দিল রেল’।অর্থাৎ ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ নিবিড় থেকে নিবিড়তর হল।

একদিনের ক্রিকেটকে বাঁচাতে সচিন দাওয়াই......



টি-২০ এর পর্বত প্রমান জনপ্রিয়তার সামনে অস্তিত্বের সংকটে ভূগছে একদিনের ক্রিকেট। আর সংকটে ভুগতে থাকা একদিনের ক্রিকেটকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকার।

এতদিন একদিনের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার সামনে একইরকম ভাবে সংকটে ভুগছিল খোদ টেস্ট ক্রিকেট।তখন টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে নানারকম পরিকল্পনা করেছিল আইসিসি কর্তারা।মজার ব্যাপার এখন সেই ক্রিকেটই চ্যালেঞ্জের সামনে।ক্রিকেট কর্তারা এখনও কোন পথ বের না করতে পারলেও একদিনের ক্রিকেটকে বাঁচানোর নতুন টোটকা বাতলে দিলেন সচিন।

তার কথায় ৫০ ওভারের ম্যাচকে যদি ২৫ ওভারের চারটি ইনিংসে ভেঙ্গে ফেলা যায় তাহলে কিছুটা হলেও আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে একদিনের ক্রিকেট। অর্থাৎ ২৫ ওভার করে দুটি দল ব্যাটিং করতে আসবে এবং দুটি দলকেই খেলতে হবে ২৫ ওভারের দুটি করে ইনিংস।তার উপর ভিত্তি করেই হবে জয় পরাজয়ের সিদ্ধান্ত।

সচিন বলেন যে ২০০২ সালে চাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের পরেই এই পরিকল্পনাটি তাঁর মাথায় আসে। উল্লেখ্য ঐ ফাইনালটি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় ভারত ও শ্রীলঙ্কা যুগ্মভাবে জয়ী ঘোষিত হয়।
তিনি বলেন যে এতে বৃষ্টির জন্য সাময়িকভাবে খেলা বন্ধ থাকলেও পরে দুটি দলই নতুন করে চিন্তা-ভাবনার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ আখেরে লাভ হবে একদিনের ক্রিকেটেরই।

জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে দলে ঝগড়া-আই টি হাব বাতিলের ভাবনা রাজ্য সরকারের......




বৈদিক ভিলেজ কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে রাজারহাটে যে তথ্যপ্রযুক্তি উপনগরী প্রকল্প তৈরি হতে যাচ্ছিল, আপাতত তা বাতিল করার পথেই সরকার। এই বিতর্কে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় মুখ বাঁচাতে পার্টী আর এ বিষয়ে এগোতে চাইছেনা।
কিন্তু শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের মত দু-একজন রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এখনও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হওয়ায় পার্টি বা সরকার প্রকল্প বাতিলের কথা সরা সরি ঘোষনা করতে পারছেনা। শীর্ষ নের্তৃত্বের মধ্যে এই নিয়ে ঝগড়া চরমে।অবশ্য ইতিমধ্যেই সরকারের মান বাঁচাতে দু-তিনটি বড় মাপের তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানীর জন্য বিকল্প জমি খোঁজার কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য রাজারহাটে গায়ের জোরে সিপিএমের জমি দখলের প্রতিবাদে বৈদিক ভিলেজ চলো অভিযানের ডাক দিলেন মমতা ব্যানার্জী। খেলাকে কেন্দ্র করে যে মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে গণ্ডগোল বেঁধেছিল সেই শিখরপুরের মাঠেই আগামী মঙ্গলবার সভা করবেন তিনি।

Friday, September 4, 2009

বৈদিক কাণ্ড-নিজের হাতেই নিজের গড়া আইন ভেঙ্গেছেন রেজ্জাক সাহেব......



বৈদিক ভিলেজকে জমি লিজ দেওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজের হাতে তৈরি আইনও ভেঙ্গেছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। ২০০৫ সালে তিনি ১৯৫৫ সালের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আইন সংশোধন করে ৪-সি ধারায় নতুন একটি উপধারা যুক্ত করেছিলেন।
সেই উপধারায় বলা হয়, সরকারের অনুমতি ছাড়া জমির চরিত্র বদল করে তাতে ঘর-বাড়িসহ কোন ধরনের নির্মাণ কাজ হলে তা ভেঙ্গে দিয়ে সেই জমিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক জমির মালিকের প্রতি এই নির্দেশ জারী করবেন বলেও জানানো হয়।তখন এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়েছিলেন ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরাই।কিন্তু বৈদিক ভিলেজের ক্ষেত্রে এই ধারাটি কার্যকর করা হলনা কেন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আইনের ঐ ধারাটি ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি জারী করে ঐ বছরেরই ১লা ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে কার্যকর করা হয়। অন্যদিকে, বৈদিক ভিলেজকে ৪৪ একর খাস জমি লিজ দেওয়ার জন্য রেজ্জাক মোল্লার দপ্তরের চুক্তি হয় ২০০৬ সালের ১১ই মে।
ভূমি সংস্কার আইনের ৪-সি ধারা অনুযায়ী ভূমি দপ্তরের অনুমতি ছাড়া জমির চরিত্র বদল শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই আইন ভাঙ্গলে ৩ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কিন্তু কি করে রিসর্ট করার জন্য নিয়ম ভেঙ্গে জলের দরে বৈদিক ভিলেজ জলের দরে জমি পেয়ে গেল? তাহলে কি নিজের হাতেই নিজের গড়া নিয়ম ভেঙ্গেছেন রেজ্জাক সাহেব।

যশবন্ত সিংহের বই নিষিদ্ধ নয়- ঘোষনা গুজরাত হাইকোর্টের......



ভারতীয় জনতা দল থেকে বহিস্কৃত নেতা যশবন্ত সিংহের লেখা নিতর্কিত বইকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছিল গুজরাত সরকার। আজ তা তুলে নেওয়ার জন্য সরকার কে আদেশ দিল গুজরাত হাই কোর্ট। উল্লেক্ষ্য পাকিস্থানের প্রতিষ্ঠাতা মহঃ আলি জিন্নাহ-এর উপরে লেখা এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরই বিতর্ক দানা বেঁধে ছিল বিজেপির অন্দরমহল থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে। এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হলেও গুজরাতের দুজন সমাজসেবী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।যার ফলেই আজ এই নির্দেশ দেন গুজরাত হাইকোর্ট।
উল্লেক্ষ্য, গুজরাত সরকার এই বইটিকে বিতর্কিত, গণতন্ত্রবিরোধী বলে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে ছিলেন। কিন্তু আজ হাইকোর্ট তার রায় দেওয়ার সময় অভিযোগ করে যে নিষিদ্ধ করবার পূর্বে সরকার এটি পড়ে দেখেনি। জাতীয় স্বার্থ বিরোধী হিসাবে এই বইটিকে দেখানোর পূর্বে সরকার মস্তিষ্কের ব্যবহার করেননি বলেও হাইকোর্ট জানিয়েছে।
যশবন্ত সিংহ জানিয়েছেন যে এই সিদ্ধান্তে তিনি সত্যিই বিস্মিত।

আইপিএলের দল কেনার দৌড়ে সঞ্জয়, অজয়ও......




আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে বলিউড তারকাদের মধ্যে। নতু দল কেনার ব্যাপারে সলমন খানের ইচ্ছাপ্রকাশের পর সঞ্জয় দত্ত ও অজয় দেবগনও এবার এই দৌড়ে সামিল হতে চলেছেন।
২০১১ সালের আইপিএলে ১০টি দলকে খেলতে দেখা যাবে।ইতিমধ্যেই একথা জানিয়েছেন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদি। আগামী বছরের শুরুতেই নতুন দুটি ফ্রাঞ্চাইজির জন্য অকশন করবে আইপিএল কমিটি।কয়েক দিন পূর্বে মুম্বাইয়ে ললিত মোদির সঙ্গে দেখা করে দল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সলমন খান।
সলমনের পর আইপিএলের নতুন দল কেনার ব্যাপারে ললিত মোদির সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেখা করেছেন সঞ্জয় দত্ত।সঞ্জয় এবং অজয় আমেদাবাদের দল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই আইপিএলে দল কিনেছেন শাহরুখ খান, প্রীতি জিন্টা ও শিল্পা শেঠি।