Tuesday, September 1, 2009

মোবাইল ফোনের বিস্তারে জীবন সংশয় মৌমাছিদের......




গ্রামে-গঞ্জে সবারই কানে মোবাইল। ছড়িয়ে পড়েছে এর ব্যবহার৷ আর তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে মোবাইল ফোন টাওয়ারগুলির সংখ্যা৷ যার কু-প্রভাব পড়ছে চাষ-বাষ থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে। আর সম্প্রতি জানা গেছে যে টাওয়ারগুলি থেকে বেরিয়ে আসা তড়িৎ চুম্বকিয় তরঙ্গ বিপদ ডেকে আনছে মৌমাছিদের জীবনে৷
সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত কেরালা রাজ্যে ক্রমশ বিলীয়মান মৌমাছি পরিবারের ওপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়৷ তাতে দেখা যায়, সে অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান মোবাইল ফোন টাওয়ারগুলিই নাকি তাদের বিলুপ্তির জন্য দায়ী৷ কারণ, হরেক রকম সেলফোন কোম্পানির লাগানো হাজারো মোবাইল টাওয়ার থেকে বেরুনো তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গ-এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কিছুতেই উদ্ধার পাচ্ছে না নিরীহ মৌমাছিরা৷
আসলে ঐ টাওয়ারগুলি থেকে নির্গত তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গ খুব দ্রুত মৌমাছিদের দিক নির্ণয় ক্ষমতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে৷ অর্থাৎ, মৌমাছি পরিবারে যাদের ওপর ফুলের মধু সংগ্রহের কাজ বর্তায়, তাদের অবস্থান নির্ণয়ের ক্ষমতা লোপ পায় তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গের প্রভাবে৷ গবেষক ড. সাইনুদ্দীন পাট্টাত্থী জানান যে, এর ফলে কর্মী মৌমাছিরা পথ হারিয়ে ফেলে৷ আর বেচারা রাণী মৌমাছি ডিমগুলি নিয়ে একা হয়ে পড়েন৷ ফলত, মাত্র দশ দিনেই মুষড়ে পড়ে এক-একটা মৌ-উপনিবেশ৷ ড. পাট্টাত্থী মৌচাক-এর পাশে মোবাইল ফোন রেখে খুব সহজেই প্রমাণ করেন ঘটনাটি৷
প্রসঙ্গত, কেরালার প্রায় এক লাখ মানুষের জীবন মধু চাষের সঙ্গে জড়িত৷ আর সে কারণে, অঞ্চলটির মৌ-কলোনিগুলি ধ্বংস হয়ে গেলে, সেটা যে সেখানকার জনসাধারণের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাবে - তা বলাই বাহুল্য৷ তারওপর, মৌমাছিদের ছাড়া ফুলে-ফুলে পরাগযোগ ও উদ্ভিদজগতের বংশবৃদ্ধিও যে সম্ভব নয়৷ তাই ড. পাট্টাত্থীর কথায়, মোবাইল ফোন টাওয়ার-এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধ করা হলে, অচিরেই লুপ্ত হয়ে যাবে মৌমাছিরা৷

No comments:

Post a Comment