Thursday, September 3, 2009

রোবোফিশ......




সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে ঘুরে গবেষণায় সহায়তা করতে পারবে তারা, পারবে পরিবেশ দূষণ চিহ্নিত করতে, আর পারবে সমুদ্রতলে ডুবে যাওয়া জাহাজ বা তেল এবং গ্যাস লাইনের উপর সমীক্ষা চালাতে৷ বলছি রোবাটিক ফিশ বা ‘রোবোফিশ’ এর কথা৷অনেকটা মাছের মতো দেখতে এই রোবোফিশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটি-র বিশেষজ্ঞরা তৈরি করেছেন এই রোবোফিশ৷ অবশ্য তাদের রোবোটিক ফিশ বানানোর এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল আরো আগেই৷ ১৫ বছর আগে এমআইটি বানিয়েছিল তাদের প্রথম রোবোটিক ফিশ৷
এমআইটি গবেষকদের ভাষায়, নতুন এই কৃত্রিম মাছ অনেক নরম, মসৃণ এবং চকচকে৷ এতে রয়েছে দক্ষতার ছোঁয়া৷ আর আসল মাছের মতোই নড়াচাড়া ঘোরাফেরা করতে সক্ষম তারা৷ এলভারাডো জানান, আমাদের ব্যয়ভার বহনকারীরা এসব কৃত্রিম মাছকে তদন্ত এবং নজরদারির কাজে ব্যবহারের চিন্তা করছেন৷
তিনি আরো জানান, নতুন ধরনের এই কৃত্রিম মাছগুলির নির্মাণ খরচ খুবই কম৷ তারা চিন্তা করছে কয়েকশত কৃত্রিম মাছ তৈরি করে তা সমুদ্রের মধ্যে বা নির্দিষ্ট কোন স্থানে ছেড়ে দেয়ার৷ এরপর তাদেরকে প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যাবে৷
নতুন প্রজন্মের রোবোফিশগুলোর আকার পাঁচ থেকে ১৮ ইঞ্চি৷ আর এতে যোগ করা হয়েছে কৃত্রিম মস্তিষ্ক৷ আলভারাডো তাঁর সহকর্মী কামাল ইয়োসেফকে সঙ্গে নিয়ে দুই বছর ব্যয় করেছেন এই রোবোফিশ-এর পেছনে৷ জলের ট্যাংকের ভেতরে পরীক্ষা করেছেন তাদের এই মাছের দক্ষতা৷ এই মাছের পেছনের প্রযুক্তিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের কথাও জানিয়েছেন তারা৷

No comments:

Post a Comment