

সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে ঘুরে গবেষণায় সহায়তা করতে পারবে তারা, পারবে পরিবেশ দূষণ চিহ্নিত করতে, আর পারবে সমুদ্রতলে ডুবে যাওয়া জাহাজ বা তেল এবং গ্যাস লাইনের উপর সমীক্ষা চালাতে৷ বলছি রোবাটিক ফিশ বা ‘রোবোফিশ’ এর কথা৷অনেকটা মাছের মতো দেখতে এই রোবোফিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটি-র বিশেষজ্ঞরা তৈরি করেছেন এই রোবোফিশ৷ অবশ্য তাদের রোবোটিক ফিশ বানানোর এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল আরো আগেই৷ ১৫ বছর আগে এমআইটি বানিয়েছিল তাদের প্রথম রোবোটিক ফিশ৷
এমআইটি গবেষকদের ভাষায়, নতুন এই কৃত্রিম মাছ অনেক নরম, মসৃণ এবং চকচকে৷ এতে রয়েছে দক্ষতার ছোঁয়া৷ আর আসল মাছের মতোই নড়াচাড়া ঘোরাফেরা করতে সক্ষম তারা৷ এলভারাডো জানান, আমাদের ব্যয়ভার বহনকারীরা এসব কৃত্রিম মাছকে তদন্ত এবং নজরদারির কাজে ব্যবহারের চিন্তা করছেন৷
তিনি আরো জানান, নতুন ধরনের এই কৃত্রিম মাছগুলির নির্মাণ খরচ খুবই কম৷ তারা চিন্তা করছে কয়েকশত কৃত্রিম মাছ তৈরি করে তা সমুদ্রের মধ্যে বা নির্দিষ্ট কোন স্থানে ছেড়ে দেয়ার৷ এরপর তাদেরকে প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যাবে৷
নতুন প্রজন্মের রোবোফিশগুলোর আকার পাঁচ থেকে ১৮ ইঞ্চি৷ আর এতে যোগ করা হয়েছে কৃত্রিম মস্তিষ্ক৷ আলভারাডো তাঁর সহকর্মী কামাল ইয়োসেফকে সঙ্গে নিয়ে দুই বছর ব্যয় করেছেন এই রোবোফিশ-এর পেছনে৷ জলের ট্যাংকের ভেতরে পরীক্ষা করেছেন তাদের এই মাছের দক্ষতা৷ এই মাছের পেছনের প্রযুক্তিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের কথাও জানিয়েছেন তারা৷
No comments:
Post a Comment