Saturday, September 5, 2009

থিম নয়-কল্যানমূলক কাজই লক্ষ্য অনেক পূজো কমিটির......


সমাজ কল্যাণকর কাজে এবার এগিয়ে আসছে কলকাতার অসংখ্য পূজো কমিটি। এই উৎসব যে শুধুমাত্র আনন্দোৎসব নয় সে কথাও বলছেন তারা। তাই এই আনন্দের দিনগুলিতে শুধুমাত্র নিজেরাই আনন্দে না কাটিয়ে তাতে যুক্ত করতে চাইছেন দুঃস্থ দরিদ্র মানুষজনকেও। যেমন বেহালার স্টেট ব্যাঙ্ক পূজ়ো কমিটির পক্ষে এক সদস্য জানালেন যে , “আলাদা কোনও থিম নিয়ে দর্শক টানায় বিশ্বাসী নই আমরা শারদোৎসবের আন্তরিকতা ও সকলের অংশগ্রহনেই আমরা এই পূজোয় সাফল্য লাভ করব।” এর পাশাপাশি দুঃস্থ মানুষদের সহায়তার জন্য বেশকিছু কর্মসূচি রাখছেন, সমাজকল্যানমূলক কাজে প্রতি বছরই আলাদা ভূমিকা থাকে বলে জানিয়েছেন অজয়বাবু।

যাত্রা শুরু হল ভারত-বাংলাদেশ মালবাহী বাণিজ্যিক ট্রেনের......




রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ডানকুনি স্টেশনকে ফ্রেড টার্মিনাল স্টেশন হিসাবে আখ্যা দেওয়ার পরই শুরু হয়ে গেল ভারত-বাংলাদেশ মালবাহী ট্রেন চলাচল।
উল্লেখ্য লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেসের শুভ সূচনা হয়েছিল। দুদেশই বাড়িয়ে দিয়েছিল বন্ধুত্বের হাত। আর সেই বন্ধুত্বের হাত কে আরও শক্ত করল মালবাহী এই ট্রেন চলাচল।
ডানকুনি টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশ যাবে প্রতিমাসিক হিসাবে গড়ে ২০টি মালবাহী ট্রেন। যা থকে রেলের আয়ও যা বাড়বে তা বলাইবাহুল্য। এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই টার্মিনালে প্রতিদিন প্রায় ৭-৮টি মালগাড়ি একইসঙ্গে লোডিং-আনলোডিং হতে পারে। ডানকুনি স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন ম্যানেজারের কথায় মুঘলসরাই-এর পর ডানকুনি টার্মিনালই গোটা দেশের মধ্যে অন্যতম। রেল এই টার্মিনাল থেকে প্রতিমাসে দেড় কোটি টাকা আয় করে।
পূর্ব রেলওয়ে মেনস কংগ্রেস ইউনিয়নের বি তিওয়ারি জানালেন, ‘আমরা রেলকর্মীরা অত্যন্ত আনন্দিত এই ভেবে যে, বাণিজ্যিক দিক থেকে সমঝোতার বন্ধনে দুই দেশকে বেঁধে দিল রেল’।অর্থাৎ ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ নিবিড় থেকে নিবিড়তর হল।

একদিনের ক্রিকেটকে বাঁচাতে সচিন দাওয়াই......



টি-২০ এর পর্বত প্রমান জনপ্রিয়তার সামনে অস্তিত্বের সংকটে ভূগছে একদিনের ক্রিকেট। আর সংকটে ভুগতে থাকা একদিনের ক্রিকেটকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকার।

এতদিন একদিনের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার সামনে একইরকম ভাবে সংকটে ভুগছিল খোদ টেস্ট ক্রিকেট।তখন টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে নানারকম পরিকল্পনা করেছিল আইসিসি কর্তারা।মজার ব্যাপার এখন সেই ক্রিকেটই চ্যালেঞ্জের সামনে।ক্রিকেট কর্তারা এখনও কোন পথ বের না করতে পারলেও একদিনের ক্রিকেটকে বাঁচানোর নতুন টোটকা বাতলে দিলেন সচিন।

তার কথায় ৫০ ওভারের ম্যাচকে যদি ২৫ ওভারের চারটি ইনিংসে ভেঙ্গে ফেলা যায় তাহলে কিছুটা হলেও আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে একদিনের ক্রিকেট। অর্থাৎ ২৫ ওভার করে দুটি দল ব্যাটিং করতে আসবে এবং দুটি দলকেই খেলতে হবে ২৫ ওভারের দুটি করে ইনিংস।তার উপর ভিত্তি করেই হবে জয় পরাজয়ের সিদ্ধান্ত।

সচিন বলেন যে ২০০২ সালে চাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের পরেই এই পরিকল্পনাটি তাঁর মাথায় আসে। উল্লেখ্য ঐ ফাইনালটি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় ভারত ও শ্রীলঙ্কা যুগ্মভাবে জয়ী ঘোষিত হয়।
তিনি বলেন যে এতে বৃষ্টির জন্য সাময়িকভাবে খেলা বন্ধ থাকলেও পরে দুটি দলই নতুন করে চিন্তা-ভাবনার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ আখেরে লাভ হবে একদিনের ক্রিকেটেরই।

জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে দলে ঝগড়া-আই টি হাব বাতিলের ভাবনা রাজ্য সরকারের......




বৈদিক ভিলেজ কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে রাজারহাটে যে তথ্যপ্রযুক্তি উপনগরী প্রকল্প তৈরি হতে যাচ্ছিল, আপাতত তা বাতিল করার পথেই সরকার। এই বিতর্কে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় মুখ বাঁচাতে পার্টী আর এ বিষয়ে এগোতে চাইছেনা।
কিন্তু শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের মত দু-একজন রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এখনও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হওয়ায় পার্টি বা সরকার প্রকল্প বাতিলের কথা সরা সরি ঘোষনা করতে পারছেনা। শীর্ষ নের্তৃত্বের মধ্যে এই নিয়ে ঝগড়া চরমে।অবশ্য ইতিমধ্যেই সরকারের মান বাঁচাতে দু-তিনটি বড় মাপের তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানীর জন্য বিকল্প জমি খোঁজার কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য রাজারহাটে গায়ের জোরে সিপিএমের জমি দখলের প্রতিবাদে বৈদিক ভিলেজ চলো অভিযানের ডাক দিলেন মমতা ব্যানার্জী। খেলাকে কেন্দ্র করে যে মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে গণ্ডগোল বেঁধেছিল সেই শিখরপুরের মাঠেই আগামী মঙ্গলবার সভা করবেন তিনি।

Friday, September 4, 2009

বৈদিক কাণ্ড-নিজের হাতেই নিজের গড়া আইন ভেঙ্গেছেন রেজ্জাক সাহেব......



বৈদিক ভিলেজকে জমি লিজ দেওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজের হাতে তৈরি আইনও ভেঙ্গেছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। ২০০৫ সালে তিনি ১৯৫৫ সালের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আইন সংশোধন করে ৪-সি ধারায় নতুন একটি উপধারা যুক্ত করেছিলেন।
সেই উপধারায় বলা হয়, সরকারের অনুমতি ছাড়া জমির চরিত্র বদল করে তাতে ঘর-বাড়িসহ কোন ধরনের নির্মাণ কাজ হলে তা ভেঙ্গে দিয়ে সেই জমিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক জমির মালিকের প্রতি এই নির্দেশ জারী করবেন বলেও জানানো হয়।তখন এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়েছিলেন ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরাই।কিন্তু বৈদিক ভিলেজের ক্ষেত্রে এই ধারাটি কার্যকর করা হলনা কেন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আইনের ঐ ধারাটি ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি জারী করে ঐ বছরেরই ১লা ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে কার্যকর করা হয়। অন্যদিকে, বৈদিক ভিলেজকে ৪৪ একর খাস জমি লিজ দেওয়ার জন্য রেজ্জাক মোল্লার দপ্তরের চুক্তি হয় ২০০৬ সালের ১১ই মে।
ভূমি সংস্কার আইনের ৪-সি ধারা অনুযায়ী ভূমি দপ্তরের অনুমতি ছাড়া জমির চরিত্র বদল শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই আইন ভাঙ্গলে ৩ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কিন্তু কি করে রিসর্ট করার জন্য নিয়ম ভেঙ্গে জলের দরে বৈদিক ভিলেজ জলের দরে জমি পেয়ে গেল? তাহলে কি নিজের হাতেই নিজের গড়া নিয়ম ভেঙ্গেছেন রেজ্জাক সাহেব।

যশবন্ত সিংহের বই নিষিদ্ধ নয়- ঘোষনা গুজরাত হাইকোর্টের......



ভারতীয় জনতা দল থেকে বহিস্কৃত নেতা যশবন্ত সিংহের লেখা নিতর্কিত বইকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছিল গুজরাত সরকার। আজ তা তুলে নেওয়ার জন্য সরকার কে আদেশ দিল গুজরাত হাই কোর্ট। উল্লেক্ষ্য পাকিস্থানের প্রতিষ্ঠাতা মহঃ আলি জিন্নাহ-এর উপরে লেখা এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরই বিতর্ক দানা বেঁধে ছিল বিজেপির অন্দরমহল থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে। এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হলেও গুজরাতের দুজন সমাজসেবী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।যার ফলেই আজ এই নির্দেশ দেন গুজরাত হাইকোর্ট।
উল্লেক্ষ্য, গুজরাত সরকার এই বইটিকে বিতর্কিত, গণতন্ত্রবিরোধী বলে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে ছিলেন। কিন্তু আজ হাইকোর্ট তার রায় দেওয়ার সময় অভিযোগ করে যে নিষিদ্ধ করবার পূর্বে সরকার এটি পড়ে দেখেনি। জাতীয় স্বার্থ বিরোধী হিসাবে এই বইটিকে দেখানোর পূর্বে সরকার মস্তিষ্কের ব্যবহার করেননি বলেও হাইকোর্ট জানিয়েছে।
যশবন্ত সিংহ জানিয়েছেন যে এই সিদ্ধান্তে তিনি সত্যিই বিস্মিত।

আইপিএলের দল কেনার দৌড়ে সঞ্জয়, অজয়ও......




আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে বলিউড তারকাদের মধ্যে। নতু দল কেনার ব্যাপারে সলমন খানের ইচ্ছাপ্রকাশের পর সঞ্জয় দত্ত ও অজয় দেবগনও এবার এই দৌড়ে সামিল হতে চলেছেন।
২০১১ সালের আইপিএলে ১০টি দলকে খেলতে দেখা যাবে।ইতিমধ্যেই একথা জানিয়েছেন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদি। আগামী বছরের শুরুতেই নতুন দুটি ফ্রাঞ্চাইজির জন্য অকশন করবে আইপিএল কমিটি।কয়েক দিন পূর্বে মুম্বাইয়ে ললিত মোদির সঙ্গে দেখা করে দল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সলমন খান।
সলমনের পর আইপিএলের নতুন দল কেনার ব্যাপারে ললিত মোদির সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেখা করেছেন সঞ্জয় দত্ত।সঞ্জয় এবং অজয় আমেদাবাদের দল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই আইপিএলে দল কিনেছেন শাহরুখ খান, প্রীতি জিন্টা ও শিল্পা শেঠি।

এবার স্তালিন নীতির সমালোচনায় পুতিন......




স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে নিজের দেশেরই সমালোচনা।অসম্ভব? না! রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করলেন খোদ সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বের রাশিয়া নয়। তিনি সমালোচনা করেছেন মার্শাল স্তালিনের রাশিয়ার। যে রাশিয়া ইউরোপ ভাগাভাগি করে নেওয়ার লভে, মলোটভ-রিবেনট্রপ আনাক্রমণ চুক্তি সই করে হাত মিলিয়েছিল নাৎসি জার্মানীর সঙ্গে। যে রাশিয়া লৌহ যবনিকার অন্তরালে, বিনা বিচারে হত্যা করেছিল ১৫,০০০ পোলিশ সেনাকে।
সম্প্রতি পোলিশ কাগজ গ্যাজেটা ভাইবোৎজায় এক কড়া প্রবন্ধ লিখে তাঁর পূর্বসূরির সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন পুতিন। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রকাশ্যে এসেছিল রুশ গুপ্তচর সংস্থা
কেজিবির নানা গোপন তথ্য।জানা গিয়েছিল হিটলারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পোল্যান্ডকে গ্রাস করতে কিভাবে লালায়িত হয়ে উঠেছিলেন স্তালিন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পোল্যান্ড পরিণত হয়েছিল রাশিয়ার উপগ্রহ দেশে। নিপীড়নের শাসন চলত সেখানে, কেউ সোভিয়েত বিরোধী মন্তব্য করলেই নিশ্চিতভাবে তাঁর ঠাঁই হত সাইবেরিয়ার শ্রমশিবিরে। এর সাথে যুক্ত হয়েছিল কাতিনের ঘটনা।এই গ্রামেরই বনে ১৫,০০০ পোলিশ সেনাকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল রেড আর্মি। আর এই দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয় হিটলারের প্যানৎজার বাহিনীর উপর।পোলিশরা এই ক্টহোর সত্য জানতেন। কিন্তু তাদের কণ্ঠ রোধ করে রেখেছিল স্তালিনের লৌহ মুষ্টি। ১৯৮৯ সালে কেজিবির নঁথি থেকে এসবই জানা যায়।
তাই পুতিনের এই সমালোচনাকে মুক্ত কণ্ঠে স্বাগত জানিয়েছে পোলিশ সংবাদমাধ্যম। তবে একাংশের মন্তব্য, সমালোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে পুতিন যদি ক্ষমা চেয়ে নিতেন তবে আরও ভালো হত।
গ্যাজেটা ভাইভোর্জার সম্পাদক অ্যাডাম মিচনিক লিখেছেন ‘এতদিন সব রুশ প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী স্তালিনিস্ট প্রোপাগান্ডাই চালিয়ে এসেছেন। কিন্তু পুতিন যে সেই ঘটনার সমালোচনা করেছেন তা পোল্যান্ডের পক্ষে ইতবাচক’।
তবে স্বভাবিকভাবেই খুশি নয় রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম। এতদিন বাদে পুতিনের এই নিয়ে মুখ খোলার পিছনে কোন যৌক্তিকতা দেখছেননা তারা।

ভারতকে পাল্টা চাপে ফেলতে মরিয়া পাকিস্থান.........




আবার পরমাণু পরীক্ষা করতে পারে ভারত-এমনটাই দাবি পাক বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র আব্দুল বাসিতের। পোখরানের পরমাণু পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছিল বলে সম্প্রতি ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী শান্তারাম যে দাবি করেছিলেন সেটিকেও পরিকল্পনামাফিক বলেছেন তিনি। আরেকটি পরমাণু পরীক্ষা করার জন্য রাস্তা পরিস্কার করতেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন বলে তার ধারণা।
পাকিস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক শক্তি বিস্তারের বিপক্ষে বলেও তিনি জানিয়েছেন। দিল্লি যদি পামাণু পরীক্ষা করে তাহলে এশিয়া মহাদেশে তার প্রভাব পড়বে এবং এতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া শান্তি আলোচনার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাসিত৷

তিনি বলেন, পাকিস্তান সামরিক প্রয়োজনে পরমাণু পরীক্ষার বিরোধী৷ এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেন দক্ষিন-পূর্ব এশিয়াতে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে পাকিস্তান এই অঞ্চলের সমস্ত দেশের সহমতের ভিত্তিতে এক চুক্তি করতে আগ্রহী৷ দীর্ঘ দিন ধরে এই নিয়ে বিভিন্ন মঞ্চে পাকিস্তান আলোচনা করলে সফলতা পাওয়া যায় নি বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, আমেরিকার কাছ থেকে পাওয়া হার্পুন অস্ত্র ভারত আক্রমণের জন্যে ব্যবহার করতে চায় পাকিস্থান বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছিল।। দেশীয় বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে সেই অস্ত্রের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করে ভারত আক্রমণের উপযুক্ত করে চলেছে তারা এই অভিযোগও ওঠে।
পাকিস্থানের এই অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন ভারতীয় নৌসেনা প্রধান। দিল্লীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অ্যাডমিরাল সুরেশ মেহেতা জানিয়েছিলেন- “পাকিস্থানের এই কীর্তি ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। যুদ্ধের বিপদ কে আহ্বান করছে। ভারতের প্রতিরক্ষাকে নতুন করে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে”। এবার এই অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধেই করলেন আব্দুল বাসিত।তিনি বলেন, ভারত নতুন করে পরমাণু পরীক্ষা করলে আবার অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হবে যা বিশ্ব শান্তি'র পক্ষে বিপদজনক হতে পারে৷
আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, কয়েকদিন পূর্বে ভারত যে অভিযোগ এনে চাপের মুখে ফেলতে চেয়েছিল পাকিস্থানকে এবার পরমাণু পরীক্ষা নিয়ে মন্তব্য করে ভারতকে পালটা চাপের মুখে ফেলতে চাইছেন তারা।

Thursday, September 3, 2009

আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় ভারতীয়দের দৌরাত্ম...




আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের সাম্প্রতিক সাফল্যের প্রতিফলন আইসিসির বর্ষ সেরার তালিকায়।ক্রিকেটার অব্‌ দ্য ইয়ার, টেস্ট ও একদিনের প্লেয়ার অব্‌ দ্য ইয়ার-মূল তিনটি বিভাগেই রয়েছে ভারতের একাধিক খেলোয়াড়।
আর এখানেও নেতৃত্বে মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনটি বিভাগেই নমিনেশন পেয়েছেন তিনি।তার সাথে রয়েছে যথাক্রমে গৌতম গম্ভীর, হরভজন সিং, ভিভি এস লক্ষ্মন, যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র শেহবাগ ও জাহির খান। ইমার্জিং ক্রিকেটার অব্‌ দ্য ইয়ার হিসাবে নাম রয়েছে অমিত মিশ্রের।মহিলাদের ক্রিকেটে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় রয়েছে বাংলার প্রিয়াঙ্কা রায় ও বর্ষীয়ান ক্রিকেটার মিতালি রাজ।
২০-২০ বিশ্বকাপে খারাপ ফলের জন্য জাহির খান ছাড়া আর কেউ এই বিভাগে স্থান পাননি।

২০১৬ এর অলিম্পিক কোন শহরে?......




আগামী ২০১৬ সালের অলিম্পিক কোথায় হবে তাই নিয়ে এখন চারটি শহরের মধ্যে চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা৷ তবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে জয়ের পাল্লাটা অনেকটাই হেলে পড়েছে স্পেনের মাদ্রিদের দিকে৷

আগামী অলিম্পিক যে লন্ডনে হতে যাচ্ছে সেটা সকলেই জানে৷ তবে এরপরের আসর কোথায় হবে সেটা নির্ধারিত হবে ২ অক্টোবর কোপেনহেগেনে৷ সেখানে আইওসির ১০৭ টি সদস্য দেশ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ২০১৬ সালের অলিম্পিক ভেন্যু৷ এই ভেন্যু হওয়ার দৌড়ে রয়েছে স্পেনের মাদ্রিদ ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো এবং জাপানের টোকিও৷ অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা ছাড়াও প্রশাসনিক দক্ষতার ওপর নির্ভর করছে অলিম্পিক ভেন্যু নির্বাচনের বিষয়টি৷ বুধবার আইওসি যে প্রতিবেদন দেওয়ার পর উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন মাদ্রিদের মেয়র আলবার্টো রুইজ গালার্ডন৷ তিনি জানিয়েছেন যে প্রতিবেদনে মাদ্রিদ সবচেয়ে বেশি প্রশংসা এবং কম সমালোচনা পেয়েছে৷ তিনি বলেন, প্রতিবেদনের পর ভেন্যু হওয়ার লড়াইয়ে মাদ্রিদ আরো শক্তিশালী অবস্থানে গিয়েছে৷ বার্তা সংস্থাগুলোর মতে, আইওসির প্রতিবেদনে মাদ্রিদ ছাড়াও রিও ডি জেনিরোকে 'অত্যন্ত উচ্চ মানের' ভেন্যু হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে৷ অপরদিকে শিকাগো এবং টোকিও কে’ও 'উচ্চ মানের' ভেন্যু বলে মূল্যায়ন করা হয়েছে।।

জোরকদমে চলছে পূজোর প্রস্ততি......








রাস্তায় হোর্ডিং থেকে শুরু করে দেবীর মূর্তি তৈরি-একটুকু খামতি নেই কোথাও। কুমোরটুলির শিল্পীরা অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তুলছে মায়ের মূর্তি। এরকম পূজোর নানা টুকিটাকি খবর দেব আমরা। লক্ষ্য রাখুন ভিন্নবাসরে...













রোবোফিশ......




সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে ঘুরে গবেষণায় সহায়তা করতে পারবে তারা, পারবে পরিবেশ দূষণ চিহ্নিত করতে, আর পারবে সমুদ্রতলে ডুবে যাওয়া জাহাজ বা তেল এবং গ্যাস লাইনের উপর সমীক্ষা চালাতে৷ বলছি রোবাটিক ফিশ বা ‘রোবোফিশ’ এর কথা৷অনেকটা মাছের মতো দেখতে এই রোবোফিশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটি-র বিশেষজ্ঞরা তৈরি করেছেন এই রোবোফিশ৷ অবশ্য তাদের রোবোটিক ফিশ বানানোর এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল আরো আগেই৷ ১৫ বছর আগে এমআইটি বানিয়েছিল তাদের প্রথম রোবোটিক ফিশ৷
এমআইটি গবেষকদের ভাষায়, নতুন এই কৃত্রিম মাছ অনেক নরম, মসৃণ এবং চকচকে৷ এতে রয়েছে দক্ষতার ছোঁয়া৷ আর আসল মাছের মতোই নড়াচাড়া ঘোরাফেরা করতে সক্ষম তারা৷ এলভারাডো জানান, আমাদের ব্যয়ভার বহনকারীরা এসব কৃত্রিম মাছকে তদন্ত এবং নজরদারির কাজে ব্যবহারের চিন্তা করছেন৷
তিনি আরো জানান, নতুন ধরনের এই কৃত্রিম মাছগুলির নির্মাণ খরচ খুবই কম৷ তারা চিন্তা করছে কয়েকশত কৃত্রিম মাছ তৈরি করে তা সমুদ্রের মধ্যে বা নির্দিষ্ট কোন স্থানে ছেড়ে দেয়ার৷ এরপর তাদেরকে প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যাবে৷
নতুন প্রজন্মের রোবোফিশগুলোর আকার পাঁচ থেকে ১৮ ইঞ্চি৷ আর এতে যোগ করা হয়েছে কৃত্রিম মস্তিষ্ক৷ আলভারাডো তাঁর সহকর্মী কামাল ইয়োসেফকে সঙ্গে নিয়ে দুই বছর ব্যয় করেছেন এই রোবোফিশ-এর পেছনে৷ জলের ট্যাংকের ভেতরে পরীক্ষা করেছেন তাদের এই মাছের দক্ষতা৷ এই মাছের পেছনের প্রযুক্তিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের কথাও জানিয়েছেন তারা৷

Wednesday, September 2, 2009

রোজ্জাকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন দপ্তরের অফিসাররাই......




বৈদিক ভিলেজের জমি বিতর্কে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রকাশ্যে না জানানোয় আলিমুদ্দিনের নেতৃত্ব খানিকটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার মহাকরণে তাঁর সাংবাদিক বৈঠক ডাকাকে কেন্দ্র করে যে উন্মাদনা ও কৌতুহল তৈরি হয়েছিল তাতে বেশ চিন্তায় ছিলেন সিপিএমের শীর্ষ নেতারা।

পাপ বা পারদ কখনও চাপা থাকেনা, একদিন না একদিন ফুলে উঠবেই-এই প্রবচন কার বা কাদের উদ্দেশ্যে তিনি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বললেন তা খোলসা না করায় রেজ্জাক সাহেবের বিরুদ্ধেই সত্য আড়াল করার অভিযোগ উঠেছে দলের অন্দরে।
প্রসঙ্গত, বৈদিক কাণ্ডে যে সব ইস্যুতে এই রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে বিশেষভাবে প্রশ্ন উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম হল হাইকোর্টের সিঙ্গল ও ডিভিসন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে।দুটি ক্ষেত্রেই ধোঁয়াসা রেখেছেন তিনি।২০০১ সালে দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার পরও ভিলেজের বিতর্কিত জমিতে বৈদিক কর্তারা কিভাবে নির্মাণকার্য চালালেন তা নিয়ে কোনও সদুত্তর তাঁর থেকে পাওয়া যায়নি।

সমকামিতা আইনকে স্বীকৃতির পথে কেন্দ্র......




সমকামিতা নিয়ে এবার বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্রীয় সরকার৷ দিল্লি হাই কোর্ট সমকামিতা নিয়ে যে রায় দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রে৷ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় সমাজে সমকামিতাকে স্বীকৃত দেওয়ার পথে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে৷ যদিও এই ব্যাপারে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখন কিছু জানানো হয় নি৷ তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর সমকামিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটি এ ব্যপারে সহমত হয়েছে৷ এই কমিটি রয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মৈলি, স্বাস্থ্য মন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ ও কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী পি চিদামবরম৷ এর আগে দীর্ঘ দিন ধরে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে, আইনজীবিদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করেছে৷ মনে করা হচ্ছে সমকামিতা আইন নিয়ে তাদের লিখিত বক্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার অনুমোদনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের বৈঠকে পেশ করা হবে৷ এদিকে আইন মন্ত্রী বীরাপ্পা মৈলি'র সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি৷

নামিবিয়া থেকে ইউরেনিয়াম আমদানী করবে ভারত......




নামিবিয়ার থেকে এবার অসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম আমদানি করবে দিল্লি৷ দিল্লি সফররত নামিবিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ এর পাশাপাশি সামরিক, প্রযুক্তিগত, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে৷ পৃথিবীর যে সকল দেশের প্রচুর পরিমানে ইউরেনিয়াম পাওয়া যায় তার মধ্যে নামিবিয়া অন্যতম৷ গত বছরে ভারত ও আমেরিকা অসামরিক পরমানু চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর এই ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উত্পাদনের জন্য দরকার প্রচুর ইউরেনিয়ামের৷ নামিবিয়ার সঙ্গে চুক্তির পরে অসামরিক পরমাণু বিদ্যুত উত্পাদনের জন্য প্রয়াস যে কেন্দ্রীয সরকার আরও বৃদ্ধি করবে তা পরিস্কার৷ আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি'র পর দিল্লি ইতিমধ্যে রাশিয়া, ফ্রান্স, কাজাকিস্তানের সঙ্গে ইউরেনিয়াম আমদানির চুক্তি করেছে৷ নামিবিয়ার সঙ্গে সদ্য সাক্ষরিত হওয়া চুক্তি'র পর প্রথা অনুসারে আরও একবার এন সি জি'তে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য৷ তবে এক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল৷ নামিবিয়ার পক্ষ থেকে শুধু মাত্র যে অসমরিক ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম পাওয়া যাবে তা নয়৷ এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্‌ থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করতে রাজি নামিবিয়া সরকার৷ এদিকে মঙ্গলবার দিল্লিতে প্লানিং কমিশনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও একবার পরিস্কার করে দিয়েছেন আগামী দিনে উন্নতির ধারা বজায় রাখতে গেলে কিন্তু নিরবিচ্ছিন ভাবে বিদ্যুত সরবরাহ দরকার৷ স্বাভাবিক ভাবে ইউরেনিয়াম সরবরাহ ধারাবাহিক ভাবে হতে থাকলে যে আগামী দিনে পরমানু বিদ্যুৎ তৈরি'র দিকে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব থেকে পরিস্কার৷

মৌলবাদের রাজধানী পাকিস্থানে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে যৌন-ব্যবসা......





উগ্র মৌলবাদীদের চূড়ান্ত ভোগবাদের শিকার হচ্ছে পাকিস্থানের নারীরা। আর তাই বেড়ে চলেছে যৌনকর্মীদের সংখ্যা। কাউকে ধরে আনা হচ্ছে জোর করে৷ আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হলেও আইনকে ফাঁকি দিয়েই পাকিস্থানে বেড়ে চলেছে দেহব্যবসা৷

এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, লাহোরে অন্তত ৩ হাজার যৌনকর্মী রয়েছে যারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে খদ্দেরের খোঁজে৷ আর চাহিদাও এত বেশি যে মধ্যরাতের আগেই খদ্দের পেয়ে যাচ্ছে তারা৷ তাদেরকে সহায়তা করছে দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু পুলিশ ৷ যৌনকর্মীদের দিয়ে পুলিশের সহায়তায় মানুষকে হয়রানির ঘটনাও লাহোরে বিরল নয়৷
পাকিস্তানে এক শ্রেণীর বাবা, মা, ভাই এমনকি স্বামীরাও ভয়ে এই ব্যবসায় পাঠাচ্ছে মেয়েদেরকে৷ এমনই এক তরুণী ২০ বছরের নিদা৷ সে জানায়, ১০ হাজার রুপি ঋণ শোধ করতে প্রথমবার তার মা-ই তাকে দেহ ব্যবসায় নামায়৷ সে সময় নাকি নিদার বয়স ছিল মাত্র ১৪!
নিদা অবশ্য থাকতে চায় না এই ব্যবসায়৷ সে জানায়, আমিও স্বপ্ন দেখি সংসার আর সন্তানের৷ কিন্তু সে সুযোগ আর নেই৷ মৌলবাদীদের বন্দুকের নলের সামনে তার উপায় আর নেই।
সরকার যদি তার পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়, তবে এই ব্যবসা ছেড়ে দিতে রাজি নিদা৷ কিন্তু সরকার কোন দায়িত্ব নিচ্ছেনা।
ফাতিমা জানিয়েছে, যৌনকর্মীদের উপর নির্যাতনও নাকি বাড়ছে দিনে দিনে৷ বিশেষত খদ্দেরের অদ্ভুত চাহিদা মেটাতে না চাইলে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারা৷ অনেকসময় মেরেও ফেলা হচ্ছে৷ আর যৌনকর্মীর মৃত্যু নিয়ে ভাবতেও নাকি রাজি নয় কেউ৷
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির অন্তত ১২টি শহরের যৌনকর্মীরা এইচআইভি/এইডস এর ঝুঁকির মুখে রয়েছে৷ ইউনিসেফ এর তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আনুমাণিক ৮৫ হাজার৷ কিন্তু সরকার নীরব।

Tuesday, September 1, 2009

মন্দার প্রভাব কমে এসেছে বললেন প্রধানমন্ত্রী......



অর্থনৈতিক মন্দা থেকে ভারত তো বটেই সারা বিশ্ব ধীরে হলে মুক্তি'র দিকে যাচ্ছে৷ প্লানিং কমিশনের বৈঠকে এসে একথা খোলাখুলি ভাবে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ তিনি জানিয়েছেন বিশ্বে'র আর্থিক অবস্থা ও দেশের অবস্থার দিকে সর্তক নজর রয়েছে সরকারের৷ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির যে লক্ষ্মন দেখা যাচ্ছে তা ধরে রাখার জন্য সার্বিক ভাবে তত্পরতা দরকার বলে জানান৷ সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তথ্যে দাবি করা হয়েছে গত বছরের শেষ ভাগে ও বর্তমান বছরের শুরু দিকে আর্থিক বৃদ্ধি যা ছিল তার থেকে বর্তমানে অবস্থা বেশ ভালো দিকে৷ প্রধানমন্ত্রী সর্তক করে দিয়ে জানিয়েছেন সরকার ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানকে তত্পর হতে হবে আর্থিক বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য৷ তাহলে কিন্তু চিত্রের বদল হওয়া সম্ভব৷ এর পাশাপাশি এবার আশানুরুপ বৃষ্টি না হওয়াতে যে সমস্যা বেড়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তবে সবটাই যে ব্যক্তিগত ভাবে ও সরকারের প্রধান হিসাবে চ্যালেঞ্জ বলে দেখছেন তাও পরিস্কার করে দিয়েছেন৷ বর্তমানে সরকার মন্দা মোকাবিলায় যে সকল প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার প্রভাব বাজারে পড়তে শুরু করেছে৷ আগামী দিনে সরকার খরা মোকাবিলায় যে বিশেষ প্রধান্য দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তা জানিযে দিয়েছেন৷

সিঙ্গুরে জমি ফেরতে দিতে পারে কোম্পানী:টাটা….




সিঙ্গুরে ন্যানোর জন্য যে জমি রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করেছিল তা এবার রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে কোম্পানীর কোন সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দিলেন টাটা মোর্টরসের কর্ণধার রতন টাটা৷ তবে শর্ত হিসাবে এর সঙ্গে যোগ করেছেন টাটা মোটরসের পক্ষ থেকে সেখানে যে পরিমানে বিনিয়োগ করা হয়েছিল তা ফিরিয়ে দিলে তারা জমি ফিরিয়ে দেবেন৷ যখন সিঙ্গুরে ন্যানো প্রকল্প হয় নি তখন জমি আটকে রাখার কোন পরিকল্পনা তার নেই বলে পরিস্কার করে দিয়েছেন৷ সিঙ্গুর থেকে গত মাসের অক্টোবরে টাটা'র ন্যানো কারখানা সরিয়ে নেওয়ার পরেও বাতাসে খবর ভাসছিল পরে এখানে অন্য কোন গাড়ী কোম্পানী করতে পারেন টাটা কতৃপক্ষ৷ এমন কি বুদ্ধবাবু নিজের ব্যক্তিগত স্তরে সচেষ্ট ছিলেন যদি টাটা এখানে অন্য কোন গাড়ী উত্পাদন কেন্দ্র করে৷ তবে এবার টাটার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্ভাবনায় ইতি পড়ে গেল৷ টাটা'রা সিঙ্গুর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে পড়ে একবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল এখানে অন্য কোন গাড়ী কোম্পানীর কারখানা করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে৷ প্রাথমিক ভাবে মাহিন্দ্রা কোম্পানীর সঙ্গে আলোচনা বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছিল৷ তবে শেষ পর্যন্ত টাটা কতৃপক্ষের মত জমি সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে বুঝতে পেরে মাহিন্দ্রা কতৃপক্ষ তাদের বিনিয়োগের প্রস্তাব স্থগিত রাখে৷ এদিকে কয়েক দিন আগে টাটা মোর্টরসের এক বৈঠকে এসে রতন টাটা জানিয়ে ছিলেন এখন পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুসারে সিঙ্গুরে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল৷ রাজ্য সরকার সেই টাকা দিয়ে দিলে জমি ফেরত দিয়ে দেবেন টাটা কতৃপক্ষ৷ রাজ্য সরকারের পক্ষে সেই টাকা ফেরতে দেওয়া কার্যত অসম্ভব৷ প্রসঙ্গত কিছু দিন আগে ভারত হেভি ইলেকট্রিকস বা ভেলের পক্ষ থেকে এখান ৬৫০ একর জায়গায় বিদ্যুত কেন্দ্রে স্থাপনের প্রস্তাব রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব পেয়ে দ্রুত তাকে বাস্তাবায়িত করতে উঠে পড়ে লেগেছে৷ তৃণমূল নেত্রীর সিঙ্গুরে যে জমি নিয়ে আপত্তি ছিল তাকে বাদ দিয়ে ৬৫০ একর জমি ভেল কতৃপক্ষ'কে দেওয়া অসম্ভব কিছু নয়৷ এই ধরনের কিছু হলে বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জী কোন ভাবে আপত্তি করবেন না বলে রাজ্য সরকারের বিশ্বাস৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভেল অকতৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক ভবে প্রস্তাব পাঠানো হযেছে কি ভাবে তারা কত সময়ের মধ্যে বিদ্যুত প্রকল্প গড়ে তুলছে চান তা বিস্তারিত জানানোর জন্য৷ তবে সমস্যা হতে পারে টাটা কতৃপক্ষের ক্ষতিপূরণ নিয়ে৷

উত্তরভারতে ভূ-গর্ভস্থ জলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে-কেন?




পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের মতো রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহ্রত হয়েছে ভূ-গর্ভস্থ জল।কিন্তু তা পূরণ করেনি সরকার।নেচার নামক এক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত তাদের রিসার্চ পেপারে ক্যালিফোর্নিয়ার দুজন অধ্যাপক ফামিগ্লিয়েত্তি এবং ইসাবেল্লা জানিয়েছেন যে এই বিশাল পরিমাণ জল ভু-ভাগের উপরে যে জল পাওয়া যায় তার অন্তর্ভূক্ত নয়।
যেখানে উত্তর-পশ্চিম ভারতে জলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে সেখানে দক্ষিণ ভারতের ভূ-গর্ভস্থ জলের পরিমাণ দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অধ্যাপক ফ্যামিগ্লিয়েত্তি আনিয়েছেন যে ভূ-গর্ভস্থ জল অনেকটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো, জমার পরিমাণ যদি তুলে নেওয়ার পরিমাণ থেকে বেশী হয় তাহলে ব্যালান্স ক্রমে বেড়ে যাবে। ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল তার প্রজেক্টের এই সময়কালের মধ্যে দেশে বৃষ্টির পরিমাণও খুব একটা কমেনি কিন্তু তা সত্বেও জলের এই স্তর কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে তিনি জলসেচের কথাই বলেছেন।তার এই মতকে সমর্থন জানিয়েছেন ইন্ডিয়াস ওয়াটার ইকোনমির সহযোগী লেখক জন ব্রিসকো।তিনি তার এই বইয়ে ভবিষ্যতে ভারতে জলের সমস্যা নিয়ে তিনি সরকারকে সচেতন করে দিয়েছিলেন।
তার মতে রাজনীতিবিদ্‌রা সবসময় কৃষকদেরকে বিদ্যুৎ সরবরাহে ছাড় দিয়ে থাকে কিন্তু হাজারেরও বেশী কৃষক যখন এতে প্রলুব্ধ হয়ে বেশী পরিমাণে পাম্প দিয়ে জল তুলতে থাকে তখন সার্বিকভাবে এটা খুবই ক্ষতিকর।
ভারতে বিশেষ করে গ্রীষ্ম ও শীতকালে যখন বৃষ্টির পরিমাণ খুবই কম তখন কৃষকদের জলসেচের উপরই নির্ভর করতে হয়। আর উল্লেক্ষ্য ১ টন গম উৎপাদন করতে ১০০০ টন জলের দরকার হয়।ফলে ভূ-গর্ভস্থ জলের পরিমাণ দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে।

মোবাইল ফোনের বিস্তারে জীবন সংশয় মৌমাছিদের......




গ্রামে-গঞ্জে সবারই কানে মোবাইল। ছড়িয়ে পড়েছে এর ব্যবহার৷ আর তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে মোবাইল ফোন টাওয়ারগুলির সংখ্যা৷ যার কু-প্রভাব পড়ছে চাষ-বাষ থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে। আর সম্প্রতি জানা গেছে যে টাওয়ারগুলি থেকে বেরিয়ে আসা তড়িৎ চুম্বকিয় তরঙ্গ বিপদ ডেকে আনছে মৌমাছিদের জীবনে৷
সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত কেরালা রাজ্যে ক্রমশ বিলীয়মান মৌমাছি পরিবারের ওপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়৷ তাতে দেখা যায়, সে অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান মোবাইল ফোন টাওয়ারগুলিই নাকি তাদের বিলুপ্তির জন্য দায়ী৷ কারণ, হরেক রকম সেলফোন কোম্পানির লাগানো হাজারো মোবাইল টাওয়ার থেকে বেরুনো তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গ-এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কিছুতেই উদ্ধার পাচ্ছে না নিরীহ মৌমাছিরা৷
আসলে ঐ টাওয়ারগুলি থেকে নির্গত তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গ খুব দ্রুত মৌমাছিদের দিক নির্ণয় ক্ষমতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে৷ অর্থাৎ, মৌমাছি পরিবারে যাদের ওপর ফুলের মধু সংগ্রহের কাজ বর্তায়, তাদের অবস্থান নির্ণয়ের ক্ষমতা লোপ পায় তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গের প্রভাবে৷ গবেষক ড. সাইনুদ্দীন পাট্টাত্থী জানান যে, এর ফলে কর্মী মৌমাছিরা পথ হারিয়ে ফেলে৷ আর বেচারা রাণী মৌমাছি ডিমগুলি নিয়ে একা হয়ে পড়েন৷ ফলত, মাত্র দশ দিনেই মুষড়ে পড়ে এক-একটা মৌ-উপনিবেশ৷ ড. পাট্টাত্থী মৌচাক-এর পাশে মোবাইল ফোন রেখে খুব সহজেই প্রমাণ করেন ঘটনাটি৷
প্রসঙ্গত, কেরালার প্রায় এক লাখ মানুষের জীবন মধু চাষের সঙ্গে জড়িত৷ আর সে কারণে, অঞ্চলটির মৌ-কলোনিগুলি ধ্বংস হয়ে গেলে, সেটা যে সেখানকার জনসাধারণের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাবে - তা বলাই বাহুল্য৷ তারওপর, মৌমাছিদের ছাড়া ফুলে-ফুলে পরাগযোগ ও উদ্ভিদজগতের বংশবৃদ্ধিও যে সম্ভব নয়৷ তাই ড. পাট্টাত্থীর কথায়, মোবাইল ফোন টাওয়ার-এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধ করা হলে, অচিরেই লুপ্ত হয়ে যাবে মৌমাছিরা৷

ভারতকে নেহেরু কাপ এনে দিলেন সোদপুরের মিষ্টু




টানা দ্বিতীয়বার নেহেরু কাপ জয়। ট্রাইবেকারে সিরিয়াকে হারাল ভারত।আম্বেদকর স্টেডিয়ামের ২০ হাজার দর্শক আনন্দে আত্মহারা। আর এই আনন্দ এনে দেওয়ার পেছনে যিনি তিনি গোলরক্ষক সুব্রত পাল, সোদপুরের মিষ্টু। গোটা টুর্ণামেন্টে ধারাবাহিক দক্ষতায় গোলরক্ষা করে ফাইনালের অবিসংবাদিত নায়ক তিনি।
টানটান উত্তেজনার ম্যাচ-চেয়ার থেকে একমুহুর্তের জন্য উঠতে দেয়নি টিভির সামনে বসে থাকা ফুটবল প্রেমিকদের।খেলার প্রথমার্ধে ভারত আক্রমণাত্মক তো দ্বিতীয়ার্ধে সিরিয়া।৯০ মিনিটের খেলার ফলাফল ভারত শূণ্য সিরিয়া শূণ্য।শুরু হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। এই সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রিকিক থেকে গোল করে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামা রেনেডি সিং। এরপরেই পালটে যায় খেলার চেহারা। গোল শোধ দেয় সিরিয়া। খেলা পৌঁছয় ট্রাইবেকারে। আর এখানেই ভারতকে বাঁচানোর সমস্ত দায়ভার চলে যায় সুব্রত-এর কাছে। যা তিনি পালন করলেন যথাযথভাবে।
প্রথমে ১-১ অবস্থায় গোল মিস করেন রেনেডি সিং। চাপে পড়ে যায় ভারত কিন্তু আয়ানের শট মাটিতে ড্রাইভ দিয়ে বাঁচিয়ে দেন সুব্রত। আবার এগিয়ে যায় ভারত। সিরিয়ার হয়ে তৃতীয় স্পট কিকটি নিতে আসেন হজ মহম্মদ। অসাধারণ প্রতিবর্তী ক্রিয়ার প্রমাণ দিয়ে বাঁ হাতে সেই শটটি বাঁচিয়ে দেন তিনি। সেখান থেকে স্কোর দাঁড়ায় ৪-৪। সাডেন ডেথে সুরকুমারের গোলে ভারত এগিয়ে যায় ৫-৪ গোলে। গোটা মাঠ তখন সুব্রতর দিকে তাকিয়ে বাঁচিয়ে দিলেই কাপ ভারতের। আর আলতাউসির উঁচু শট্‌ শূণ্যে উড়ে ফিস্ট করে ক্রসবারের উপর তুলে ভারতকে দ্বিতীয়বার নেহেরু কাপ জেতালেন তিনি। অবসান হয় ১২০ মিনিটের উত্তেজনার। আর নায়ক সোদপুরের মিষ্টু