

স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে নিজের দেশেরই সমালোচনা।অসম্ভব? না! রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করলেন খোদ সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বের রাশিয়া নয়। তিনি সমালোচনা করেছেন মার্শাল স্তালিনের রাশিয়ার। যে রাশিয়া ইউরোপ ভাগাভাগি করে নেওয়ার লভে, মলোটভ-রিবেনট্রপ আনাক্রমণ চুক্তি সই করে হাত মিলিয়েছিল নাৎসি জার্মানীর সঙ্গে। যে রাশিয়া লৌহ যবনিকার অন্তরালে, বিনা বিচারে হত্যা করেছিল ১৫,০০০ পোলিশ সেনাকে।
সম্প্রতি পোলিশ কাগজ গ্যাজেটা ভাইবোৎজায় এক কড়া প্রবন্ধ লিখে তাঁর পূর্বসূরির সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন পুতিন। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রকাশ্যে এসেছিল রুশ গুপ্তচর সংস্থা
কেজিবির নানা গোপন তথ্য।জানা গিয়েছিল হিটলারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পোল্যান্ডকে গ্রাস করতে কিভাবে লালায়িত হয়ে উঠেছিলেন স্তালিন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পোল্যান্ড পরিণত হয়েছিল রাশিয়ার উপগ্রহ দেশে। নিপীড়নের শাসন চলত সেখানে, কেউ সোভিয়েত বিরোধী মন্তব্য করলেই নিশ্চিতভাবে তাঁর ঠাঁই হত সাইবেরিয়ার শ্রমশিবিরে। এর সাথে যুক্ত হয়েছিল কাতিনের ঘটনা।এই গ্রামেরই বনে ১৫,০০০ পোলিশ সেনাকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল রেড আর্মি। আর এই দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয় হিটলারের প্যানৎজার বাহিনীর উপর।পোলিশরা এই ক্টহোর সত্য জানতেন। কিন্তু তাদের কণ্ঠ রোধ করে রেখেছিল স্তালিনের লৌহ মুষ্টি। ১৯৮৯ সালে কেজিবির নঁথি থেকে এসবই জানা যায়।
তাই পুতিনের এই সমালোচনাকে মুক্ত কণ্ঠে স্বাগত জানিয়েছে পোলিশ সংবাদমাধ্যম। তবে একাংশের মন্তব্য, সমালোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে পুতিন যদি ক্ষমা চেয়ে নিতেন তবে আরও ভালো হত।
গ্যাজেটা ভাইভোর্জার সম্পাদক অ্যাডাম মিচনিক লিখেছেন ‘এতদিন সব রুশ প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী স্তালিনিস্ট প্রোপাগান্ডাই চালিয়ে এসেছেন। কিন্তু পুতিন যে সেই ঘটনার সমালোচনা করেছেন তা পোল্যান্ডের পক্ষে ইতবাচক’।
তবে স্বভাবিকভাবেই খুশি নয় রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম। এতদিন বাদে পুতিনের এই নিয়ে মুখ খোলার পিছনে কোন যৌক্তিকতা দেখছেননা তারা।