Friday, August 14, 2009

যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার চক্রান্ত- অভিযুক্ত বাংলাদেশী যুবক......




যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার চক্রান্ত এবং আন্তর্জতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এহসানুল ইসলাম সাদেকীকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে৷

চূড়ান্ত রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে ৬০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে সাদেকীর৷ ২৩ বছর বয়সী সাদেকী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা সহ সন্ত্রাসবাদীদের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন৷
এক সপ্তাহ আগে শুরু হয় এই শুনানি৷ ২০০৬ সালে এফবিআই বিশেষ অপারেশন চালিয়ে ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায়৷ মূলত, এর আগে আরেকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত অ্যাটলান্টা টেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র পাকিস্তানি-আমেরিকান সাঈদ হারিস আহমেদের সহযোগী হিসেবে সাদেকীকে গ্রেফতার করা হয়৷
উল্লেখ্য জানা গেছে যে ২০০৫ সালে ক্যাপিটল হিল, পেন্টাগন, বিশ্বব্যাংক, জ্বালানি শোধনাগার সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ভিডিও করে ইরাক ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে প্রেরণ করতে সহায়তা করে সাদেকী৷ অবশ্য এই কাজের নেতৃত্বে ছিলেন ২৪ বছর বয়সী সাঈদ হারিস আহমেদ। বলা হয়েছে, সাদেকী ওইসব ভিডিও-র কপি প্রেরণ করেছেন ইরাকে আল-কায়েদা সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের জন্য লোকভর্তিকারী ইউনুস সুলি এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য আবিদ হোসেন খানের কাছে৷ আটলান্টার সন্নিকটে বিমান বাহিনীর ডবিন রিজার্ভ বেসে সন্ত্রাসী হামলার ব্যপারেও তারা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেছেন বলে অভিযোগ৷ ২০০৫ সালের মার্চ মাসে সাদেকী ও আহমেদ কানাডায় এফবিআইয়ের সন্দেহভাজন তিন সন্ত্রাসীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ৷ এক কথায় আদালতে বলা হয়েছে সে জিহাদ করতে চেয়েছে৷আদালতে সাদেকী বলেছেন, তিনি ইসলামি সশস্ত্র আন্দোলনের বিভিন্ন ওয়েব সাইট পরিদর্শন করেছেন, তাদের মতামত পড়েছেন ঠিকই; কিন্তু এসব এই প্রমাণ করে না যে, তিনি জিহাদের সঙ্গে জড়িত৷ সাদেকী বিচারককে বলেছেন, ইসলামি জঙ্গিদের সহায়তা করার বিষয়টি একটি কথার কথা মাত্র৷ তার বিরুদ্ধে জিহাদে যোগ দেয়ার অভিযোগটিকে ফাঁকা বুলি হিসাবেই তিনি আবারও উল্লেখ করেছেন৷

No comments:

Post a Comment