

নিম্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের এক পরিবার ১০ বছর আগে হায়দ্রাবাদ থেকে করাচিতে বসবাস করতে শুরু করে। কিন্তু এখন তারা গৃহহীন। সৌজন্যে জমির মালিক। কোন বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই গত ১৯শে আগষ্ট তাদেরকে জোর করে জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। ১০ বছরের ভাড়া বকেয়া আছে এই অভিযগে তাদেরকে উচ্ছেদ করেছে জমির মালিক। এছাড়াও তাদের আসবাব-পত্র সহ সমত কিছুই ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়।
তারা এব্যাপারে কিছুই জানতনা বলে জানিয়েছেন নিম্ন হিন্দু পরিবারের সন্তান মিঠূর। মিঠু দাবি করে যে জমির মালিক শাকিলের সাথে ১০ বছর আগে এক চুক্তি হয়েছিল। তার পরিবার শাকিলের জমিতে বিনা মাইনেতে কাজ করবে এবং তার পরিবর্তে তারা ঐ জমিতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বসবাস করবে বলে দুপক্ষই এই চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল।
মিঠু এও বলেন যে তারা শুধু শাকিলকেই চিনত কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে সে বেপাত্তা। তার পরিবারকে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রথমে তারা তাকে জানায় যে সে অসুস্থ কিন্তু পরে জানা যায় সে দেশ ছেড়ে চলে গেছে।
মিঠুর বাবার কথায় শাকিলের ছেলে ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা তাদেরকে এই মর্মে শাষিয়ে গেছে যে যদি তারা টাকা দাবি করে তাহলে পারিণতি খুব খারাপ হবে।
মিঠু এবং তার পরিবার পরে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ তার এফ আই আর গ্রহন করেনি। পরে তারা মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে।
মানবাধিকার কমিশনের প্রধান আলি নওয়াজ কাথিহার জানান যে তিনি এই ঘটনার সম্বন্ধে অবগত। তিনি বলেন ‘কিন্তু পাঁচদিন ধরে এখানে বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারছিনা’।
শুধু শিবজির পারিবার নয় সেখানে অবস্থিত অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদেরই ভবিতব্যই এটা। সরকারি এক পদস্থ অফিসারের কথায় তাদের বেশীরভাগই অশিক্ষিত এবং তাদের ন্যূনতম স্বাক্ষর ঞ্জান না থাকায় জমির মালিকরা দিনের পর দিন তাদেরকে ঠকিয়ে আসছে।
No comments:
Post a Comment