

আমেরিকা আর খ্রীষ্টানদের দেশ নয়-নতুন এক সমীক্ষা এই কথাই প্রমাণিত করছে। ২০০৮ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৭৬ শতাংশ আমেরিকাবাসী নিজেদের কে খ্রীষ্টান বলে চিহ্নিত করছে। যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম।
সম্প্রতি এই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে তারা ধীরে ধীরে হিন্দু ধর্মের দিকে ঝুঁকছে।
ঋক্ বেদে লেখা আছে সত্য একটাই কিন্তু সন্ন্যাসীরা এটিকে অনেক নামে ডাকে। হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরকে পাওয়ার অনেক পথ রয়েছে।যীশু, কোরান, যোগা এর এক একটি পথ। কিন্তু রক্ষনশীল খ্রীষ্টানরা এই মতাদর্শে বিশ্বাসী নয়। রোবিবারে তাদের বিদ্যালয়ে শেখানো হয় যে খ্রীষ্টান ধর্মই সত্যি এবং একমাত্র পথ, অন্যান্যরা মিথ্যা। যীশুর কথায় ‘আমি একমাত্র পথ, জীবন এবং সত্যি-ভগবানের কাছে আমার মাধ্যমেই শুধু পৌঁছানো যাবে’। খ্রীষ্টানদের এই মানসিকতাই আমেরিকানদের তাদের থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।
২০০৮ এর সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৬৫ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করে যে অনেক ধর্মই মানুষকে চিরন্তন সত্যের দিকে পৌঁছে দেয়। ৩০ শতাংশ আমেরিকান নিজেদেরকে ধর্মীয় না বলে আধ্যাত্মিক বলে। বোস্টন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক স্টিফেন প্রোথেরো বলেছেন যে যোগা, ক্যাথোলিক এবং হিন্দু ধর্ম কে যদি এক সাথে করা যায় তাহলে আরও ভালোভাবে চিরন্তন সত্যের দিকে পোউঁছে যাওয়া যাবে।
মৃত্যু নিয়েও প্রতিটি ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। খ্রীষ্ট ধর্মের মতে মৃত্যুর পরে দেহ এবং আত্মা এক হয়ে যায়। কিন্তু হিন্দুরা মৃত্যুর পর পুনর্জন্মে বিশ্বাসী। মৃত্যুর পর আত্মা ভিন্ন ভিন্ন শরীরে পৃথিবীতে ফিরে আসে বলে তাদের ধারণা। এই মতাদর্শে এখন আমেরিকানরা বেশী বিশ্বাসী এবং এদিক দিয়ে তারা ক্রমে হিন্দু ধর্মের দিকেই ঝুঁকেছে। এখন ২৪ সতাংশ আমেরিকান এই পুনর্জন্মের তত্ত্বে বিশ্বাসী।
পুরণো সব পরিসংখ্যান কে পেছনে ফেলে দিয়ে এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে দিচ্ছে যে আমেরিকানরা এখন খ্রীষ্ট ধর্মের থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মের মতাদর্শেই বেশী বিশ্বাসী হয়ে উঠছে।
No comments:
Post a Comment