

রাজারহাটে ফুটবল খেলা ঘিরে গুলি বোমা কান্ডে অভিযুক্ত গফ্ফর মোল্লার উত্থান তিন বছর আগে। এর আগে জীবন শুরু ভ্যানে করে সবজি বিক্রী করে। তারপর ইঁটভাঁটার ইঁট চুরি এবং ছোটোখাটো অপরাধ।বড় অপরাধ বলতে তখন ছিল শুধুমাত্র ইলিকট্রিকের তাঁর চুরি।
২০০৩-০৪ সালে কিছুদিন কাজ করে বেদিক ভিলেজে।ভিলেজ গড়ার সময় মাটি সরবরাহ করেছিল সে। তারপরেই বড় অপরাধ জগতে তার প্রবেশ। এরপর ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের জমি কাড়াই তার একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ রাজারহাটের শিখরপুরের মানুষদের।জমির মালিককে নামমাত্র টাকা ধরিয়ে জমি দখল করার কৌশল ছিল তার নখদর্পনে।অভিযোগ উঠেছে বেদিক ভিলেজ তার সাহায্যেই জোর করে অনেক জমি দখল করেছে। কিন্তু ভিলেজ কতৃপক্ষ ইতিমধ্যেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে যে ভিলেজের এক কর্মকর্তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।কিন্তু বেদিক ভিলেজ কতৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে একজন সামান্য ঠিকাদার হিসাবেই তারা তাকে চেনে।কিন্তু একজন সামান্য ঠিকাদারের বাড়ির থেকে বেদিক ভিলেজে আসা-যাওয়ার পৃথক রাস্তা কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আর একজন সামান্য ঠিকাদারের তিনতলা ঝাঁ চকচকে বাড়ি একই জমিতে ১৯ টি আলাদা আলাদা ঘর কি করে বানালো তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও জানা গেছে তার প্রায় ২০০ জন সঙ্গী এবং বাইক বাহিনীও আছে। তার বিশ্বস্ত সঙ্গীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাসুদ, নাসির খাঁ, মতিবার রহমান ও সুজাউদ্দিন মোল্লা।
তার একটি ইমারতি জিনিসপত্র তৈরির সংস্থাও রয়েছে এবং সম্প্রতি বেদিক ভিলেজের আটটি কটেজ তৈরির বরাতও সে পেয়েছে।উল্লেখ্য এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তৃণমূলের এক নেতাকে শায়েস্তা করার জন্য ৯১ রুটের বাস বন্ধ করে দিয়ে ২০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল তার দলবল।
কিন্তু গফ্ফর কে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম কথা বলছে ভিলেজের কর্তা-ব্যাক্তিরা।কখনও বলছে যে তারা তাকে চেনে ঠিকাদার হিসাবে আবার কখনও বলছে তাকে চেনেইনা। তাকে নিয়ে মত-পার্থক্য তৈরি হয়েছে খোদ পুলিশ-প্রশাসনের মধ্যে।
অর্থাৎ সেই এলাকায় জমি দখল করতে হলেই বিভিন্ন কোম্পানীর মালিকরা দ্বারস্থ হত এই গফ্ফর মোল্লার। উল্লেক্ষ্য, এই নিয়ে বাম শরিকদের মধ্যেই দ্বন্দ চরমে। একদিকে পূর্ত মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী অস্ত্র রাখার দায়ে বেদিক ভিলেজের মালিকের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন। অপরদিকে জমি অধিগ্রহনের ক্কেত্র দীর্ঘদিন ধরে বেদিক ভিলেজকে সাহায্য করার জন্য যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী রোজ্জাক মোল্লার কথায় ‘যদি আম্বানীর ঘর থেকে অস্ত্র পাওয়া যায় তাহলে পুলিশ কি তাকে গ্রেপ্তার করবে’।
No comments:
Post a Comment