

গত ১০ মাসের মধ্যে এই প্রথম। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে দাঁড়ালো ৭৫ ডলারে৷ মঙ্গলবার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির এই রেকর্ডটি শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারিদের মধ্যে নতুন করে আশার সৃষ্টি করেছে৷
সোমবার ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম গিয়ে পৌঁছেছিল ৭৩ দশমিক ৮১ ডলারে৷ আর এই দিনের এই দাম ছিল গত অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ৷ তবে মঙ্গলবার দিনের শুরুতে মার্কিন বাজারে তেলের দাম ছিল ৭৩ দশমিক ৪১ ডলারে৷ এরপর একটু হালকা লাফ দিয়ে এই দাম গিয়ে দুপুর নাগাদ পৌঁছে ৭৪ দশমিক ৭০ ডলারে৷ দিনের শেষে এই দাম গিয়ে দাড়ায় ৭০ ডলারে৷ গত বছর এবং এ বছরের শুরুতে আর্থিক পরিস্থিতির মাতাল সময়ে ব্যারেল প্রতি জ্বালানি তেল ১৪০ ডলার থেকে মাত্র ৪০ ডলারে নেমে আসে৷ ফলে এ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছিল তোলপাড়৷
তেলের বাজারের আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক আন্দ্রে ক্রিউইসকভ লন্ডনে এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্যে জানান, আমরা বাজার ভালো হবার বেশ কিছু সবুজ সংকেত দেখতে পাচ্ছি৷ আর তাঁর এই কথার সত্যতা মিললো ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের মূল্য সূচক দেখে৷ এই দুই বাজারেই শেয়ারের মূল্য সূচকের পারদ ছিল উর্ধ্বমুখী৷ গত মে মাসের পর এই প্রথম শেয়ার গ্রহিতাদের আস্থার চিত্রই দেখা যাচ্ছে, এর লক্ষণ স্পষ্ট, আর তা হলো বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে এবং চাকুরির বাজারে যে কম্পন ছিল, সেই কাঁপুনি কমছে৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি জরিপ চালিয়েছে সম্প্রতি৷ ঐ জরিপের ফলাফলে তারা দেখতে পেয়েছে অন্তত ৩০ জনেরও বেশি বাজার বিশ্লেষক মনে করেন, আগামী বছর তেলের দাম সব সময়ই ব্যরেল প্রতি ৭৩ ডলারের উপর থাকবে৷ মূলত বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যাবার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হবে বলেই তাদের অভিমত৷
উল্লেক্ষ্য, ভারত এ বছর তেলের আমদানি বাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আগামী ২০১২ সাল নাগাদ বর্তমান চাহিদার চেয়ে সেখানে অন্তত ৮৫ শতাংশ চাহিদা বাড়বে৷ এরই পরিপ্রক্ষিতে সেখানে অশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়াতে হচ্ছে৷ আর তাই সেখানকার রিফাইনারিগুলোর ক্ষমতা আরও ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷
No comments:
Post a Comment