Saturday, August 22, 2009

সোমালিয়ায় চলছে গৃহযুদ্ধ......



সোমালিয়ায় শুক্রবার বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনী ও আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তিরক্ষী বাহিনীর লড়াইয়ে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে৷

মধ্য সোমালিয়ায় যুদ্ধে ৩০ জনেরও বেশি নিহত হওয়ার ঘটনার মাত্র একদিন পর আবারও দু'পক্ষের মধ্যে নতুন করে এই যুদ্ধ বাঁধল৷ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কে-ফোর জংশনে খুব ভোরের দিকে বিদ্রোহীরা এউ ও সরকারি বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালালে যুদ্ধ শুরু হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নগরীর আরও তিনটি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে৷ নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক৷ সারা সকাল ধরে সংঘর্ষ চলে৷ এতে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আলি মুসা বলেন ‘আমরা ১৮টি মৃতদেহ পরিবহন করেছি।’ এছাড়া আহত ৪০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এছাড়া অন্য এলাকায় আরো ৬ জনের নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ মোগাদিশুর ব্যস্ততম এলাকা বাকারা মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী নেতা বলেন, একটি রেস্তোরাঁর ওপর মর্টারের গোলা বিস্ফোরিত হলে এরা নিহত হয়৷

এছাড়া, সোমালিয়ার বাকুল সীমান্ত এলাকায় সোমালীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওগাডেন জাতীয় মুক্তি সংস্থার যোদ্ধাদের সাথে ইথিওপিয়ার সৈন্যরা যুদ্ধ করছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র৷ তবে এই ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি৷ তবে সোমালিয়ার আরো বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল শাবাব, আহলু সুন্না ওয়ালজামাকা এবং হিজবুল ইসলামের মধ্যে এলাকা দখল নিয়ে লড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, শুক্রবার আল শাবাব গোষ্ঠীর সাথে কয়েক ঘন্টা যুদ্ধ চলার পর আহলু সুন্না গোষ্ঠীর সদস্যরা মাহাস শহর দখল করে নেয়৷ এর আগে, গেডো অঞ্চলের লুক শহরটি দখল করে হিজবুল ইসলাম গোষ্ঠী৷
১৯৯১ সালে একনায়ক শাসক মোহামেদ সিয়াদ বারে'কে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ৷ ১৮ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সোমালিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর নিরাপদ বিকাশস্থল হয়ে উঠেছে বলে ধারণা নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের৷ এই জঙ্গিরা সেখান থেকে হর্ন অব আফ্রিকা ও এর বাইরের দেশগুলোতে হামলার পরিকল্পনা করছে৷ এক হিসাব মতে, গত দুই বছরে সোমালিয়ায় সহিংসতায় নিহত হয়েছে ১৮ হাজারেরও বেশি সোমালীয় নাগরিক৷ এছাড়া ঐ সময়ে গৃহহীন হয়েছে আরো ১০ লাখ বেসামরিক মানুষ৷ এদিকে, শুক্রবার আল শাবাব গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া৷

No comments:

Post a Comment