

রেলমন্ত্রীর দাবী ফেলতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকার। শুরু হল লালগড়ে সি পি এমের বাইকবাহিনীর দাপিয়ে বেড়ানোর বিষয়ে তদন্ত।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন “আমার সহকর্মী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লালগড়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেটা আমাকে দিয়েছেন।আমি অভিযোগ গুলি খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রীকে আমার মতামত জানাব,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলব”। সহকর্মীর দাবীকে যথাযথ সন্মান জানিয়ে শুরু হল তদন্ত।
গতকাল লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারের সর্বদলীয় বৈঠকের পরে রেলমন্ত্রী বললেন, “লালগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানের অজুহাতে সি পি এম তাদের ক্যাডার বাহিনী ঢোকাচ্ছে। সি পি এমের মাফিয়া গুন্ডারা বাইকে চেপে এলাকায় সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরী করেছে”।
কিন্তু ঘটনাটি ঠিক কি? যে সব অঞ্চলে কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথবাহিনী ঢুকছে, পেছনে প্রবেশ করেছে সি পিএমের বাইকবাহিনীর মিছিল। এরকমই একটি মিছিল কয়েকদিন পূর্বে চোখে পড়ে গোয়ালতোড় এলাকায়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এই ছবি প্রকাশের পর গোয়ালতোড় জোনাল কমিটির প্রতিক্রিয়া-সেখানে কোনও মিছিল পার্টি করেনি। তাদের যুক্তি, সেখানে ১৪৪ ধারা ছিল।
কিন্তু কেন তারা ঢাকতে চাইছেন এই ঘটনাকে? বিরোধীদের মতে, বাইকবাহিনী সম্পর্কে ওই এলাকার অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। প্রশ্ন উঠেছে, কোন উদ্দ্যেশে গোয়ালতোড় সংলগ্ন এলাকায় বাইক মিছিল করল সিপিএম। এটা কি পেশীশক্তির প্রদর্শন নাকি ভয় কাটিয়ে ওঠবার চেষ্টা।
No comments:
Post a Comment