

কান্ধামালের নৃশংস ঘটনার দায় সবাই চাপিয়েছিল হিন্দুদের উপর।স্বামী লক্ষ্মনানন্দ সরস্বতীর মৃত্যুর বদলা নিতেই হিন্দুরা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে সবাই দাবি করেছিল।
কিন্তু শরৎচন্দ্র মহাপাত্র কমিশনের মধ্যবর্তীকালীন রিপোর্ট অন্য কথাই বলছে।কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী কান্ধা ও পানা নামক দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধই এর কারণ।এছাড়াও জোর করে ধর্মান্তরিত করাও কান্ধামালের ঘটনার পেছনে দায়ী। রিপোর্টে জানান হয় যে ওড়িষ্যায় ফ্রিডম অব রিলিজিয়ন অ্যাক্ট থাকা সত্বেও বে-আইনিভাবে ধর্মান্তকরণ চলতেই থাকে।
সেখানকার সামাজিক প্রেক্ষাপটের ছবিটা বিচার করলে সহজেই তা বোঝা যাবে বলে দাবী রিপোর্টটির।সেখানে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৫২% কান্ধা ও ১৯% পানা।তাই সেখানকার চার্চগুলি পানাদের নানাভাবে খ্রীষ্ট ধর্মে রুপান্তরিত করতে থাকে।উল্লেখ্য ১৯৫১ সালে যেখানে ধর্মান্তরিত করা হয় ১৯,১২৮ জনকে সেখানে২০০১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১,১৭,৯৫০ জনে।
তারপর পানারা অনৈতিক ভাবে কান্ধাদের জমি অধিগ্রহন করতে থাকে।অনৈতিক ভাবে জমি অধিগ্রহন ও ধর্মান্তকরণের পাশাপাশি এস সি, এস টি না হয়েও অনেকে জাল শংসাপত্র বানিয়ে নেয়। আর পদস্ত আধিকারিকরা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারা এতে দিনের পর দিন মদত দিয়ে আসছে।
পানা গোষ্ঠীভুক্তরা খ্রীষ্টান হওয়ার পর তাদের এস সি, এস টির স্বীকৃতি বাতিল হয়ে যায়। তাই তারা মিশনারীদের সাহায্যে এই জাল শংসাপত্র বানাতে শুরু করে। আর তাতেই মতবিরোধ দেখা যায় এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।
বিচারপতি মহাপাত্রের মতে রিপোর্ট সম্পূর্ণ হতে আরও দুই বছর বাকি কিন্তু আশা করি এই মধ্যবর্তীকালীন রিপোর্ট সরকারকে তদন্তে অনেকটাই সাহায্য করবে।
No comments:
Post a Comment