

জ্যোতিষী এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিল ব্যাঙ্গালোরে।মতপার্থক্যের কারণ শতাব্দীর শেষ এবং বিস্ময়কর সূর্যগ্রহন। যা দেখা যাবে আগামীকাল।
কি বলছেন জ্যোতিষবিদ্রা? তাদের কথায় এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং জনগণের মধ্যে এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
এর পেছনে তাদের যুক্তি- ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং মহাভারতের যুদ্ধও সূর্যগ্রহনের দিনেই হয়েছিল।
কিন্তু তাদের এই যুক্তিকে কুসংস্কারাছন্ন বলে খন্ডন করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন যে এটি বৈজ্ঞানিক একটি ঘটনা। চাঁদ যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে তখন সূর্যের আংশিক বা কখনও সম্পূর্ণ অংশ ঢাকা পরে যায় তখনই সূর্যগ্রহনের সূচনা হয়।
জ্যোতিষবিদ্ সোম্যাজী এর হাত থেকে মুক্তি পেতে জনগণকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন এবং পূজা, যজ্ঞ ও মন্দিরে গিয়ে উপাসনা করবার নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একে গবেষনার কাজে ব্যবহার করার কথা বলছেন। ব্যাঙ্গালোর সায়েন্স ইউনিভার্সিটির সভাপতি রামা রাও জানিয়েছেন যে গ্রহনের সাথে কুসংস্কারের কোন সম্পর্ক নেই।
এছাড়াও তারা ‘করোনা’ নামক সূর্যের বাইরের অংশটি নিয়ে গবেষনা করার কথা ভাবনা-চিন্তা করছেন।দীপক নন্দ নামে এক ছাত্র জানিয়েছে যে সে এই বিস্ময়কর দৃশ্যের সাক্ষী হতে চায়। তবে অবশ্যই সুরক্ষিত চশমা দিয়েই সে এই দৃশ্য উপভোগ করবে বলেও জানিয়েছে।
অপরদিকে ইসকন মন্দিরে প্রতিবারের ন্যায় এবছরও আগামীকাল পূজা-অর্চনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment