Tuesday, July 21, 2009

ক্লিন্টনের ভারত সফরের মূল বার্তা কি?...




ভারত-পাক সম্পর্কে নতুন মোড়। ২০০৪ সালে দুই দেশের মধ্যে এক চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু নভেম্বর, ২০০৮ মুম্বাই বিস্ফোরনের পর তা চলে গেল হিমঘরে।সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমিত থাকা চলবেনা। নিতে হবে সক্রিয় পদক্ষেপ।তা নিতে না পারায় সমালোচিত হতে হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে।
তারপরেই চাপ বাড়াতে থাকে ভারত। কারণ লোকসভা ভোটের দায়।কাজও হয়। কিছুটা নড়ে চড়ে বসে পাকিস্থান। সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে এক তথ্য ভারতের হাতে তুলে দেয় তারা। কিন্তু ১৯৭২ সালে পাকিস্থানের সাথে সিমলা চুক্তির সময় যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দিয়েছিলেন মনমোহন সিংহ কিন্তু পারলেননা।
অপরদিকে রয়েছে পাকিস্থান।লোকে বলে যে সেখানে গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই।সেখানেই বাড়বাড়ন্ত ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির।পাক সরকার কি সেগুলি দমনে সবসময় সচেষ্ট-প্রশ্ন জাগতেই পারে? কারণ মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সৈয়দকে গ্রেপ্তার করার ব্যাপারে তাদের কোর্ট অপারগ বলে জানালে সন্দেহের উদ্বেগ হওয়াটা স্বাভাবিক।
কি ভূমিকা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের। সন্ত্রাস দমনে একের পর এক অর্থ সাহায্য তারা করে চলেছে পাকিস্থান সরকারকে।বারবার ভারত-পাক সম্পর্কে মধ্যস্থতা করে চলেছেন তারা।
কয়েকদিন পূর্বে ন্যাম সামিটে ভারত-পাক যৌথ বিবৃতি কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মোড় এনেছে।ক্লিন্টনের ভারত সফর এই দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতি আনল।

No comments:

Post a Comment