Wednesday, July 22, 2009

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর আমেরিকায়......




ঘটনাস্থল শিকাগোর একটি হোটেল। বাইরে রোষে ফেটে পড়ছিল হাজারো আমেরিকান। কি চলছিল ভেতরে? চলছিল হিজব-উত-তাহির নামক একটি মুসলিম সংগঠনের সন্মেলন। সন্মেলনের আলোচ্য বিষয় –সাম্রাজ্যবাদের পতন এবং ইসলামের উত্থান। আর এই আলোচ্য বিষয়ই বিপাকে ফেলেছে এই সংগঠনটিকে।
তাদের প্রতি অভিযোগ উঠেছে যে ৯/১১ এর মাস্টারমাইন্ড খালিদ শেখ মহঃ এবং আলকায়দার একসময়কার হত্তা-কর্তা মুসাব আলি জারকায়ীও তাদের সাথে যুক্ত।
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত নয় বলে ইতিমধ্যেই সাফাই গাইতে শুরু করেছেন তারা। উল্লেখ্য সরকারী নঁথিতেও এটিকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে উল্লেখ করা নেই। কিন্তু সন্মেলনে সাম্রাজ্যবাদকে একহাত নেওয়ায় সন্দেহ দানা বেঁধেছে তাদের মনে।
হোটেলের বাইরে বিদ্রোহী কণ্ঠে ধ্বণিত হচ্ছিল-এটি আমেরিকা।যদি কেউ পছন্দ না করে বাড়ি ফিরে যেতে পারে।
তারা জিহাদী তৈরি করেনা বা জিহাদের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই, এই দাবী করেছেন মুসলিম সংগঠনটির নেতা মলকাভী।তারা যতই সাফাই গান না কেন তাদের নির্দিষ্ট করা লক্ষ্য কিন্তু অন্য কথা বলছে। একদিকে বলছেন তারা জিহাদীদের শিক্ষা দেননা কিন্তু অপরদিকে বলছেন যে তাদের লক্ষ্য খলিফাদের জন্য এক পৃথক ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করা।
সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞদের মতে এটি খুবই সাংঘাতিক একটি সংগঠন। ফিউচার অব টেরোরিজম প্রোজেক্ট অ্যাট দ্য ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসির ডিরেক্টর ওয়ালিদ ফেয়ার্সের মতে এরা ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের মনে জেহাদী ভাবনা ঢূকিয়ে দেয় যা খুব সাংঘাতিক। আর এই দিক দিয়েই তারা আলকায়দার থেকে আলাদা।
তিনি এও বলেন যে যদি আলকায়দা জঙ্গীদের হাইস্কুল হয় তবে এটি প্রাইমারী স্কুল।জানা গেছে ১৯৯৩ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোম্বিং এছাড়াও নাইট ক্লাবে হামলা সব কিছুর পেছনে দায়ী যে খালিদ শেখ মহঃ তিনিও এর সাথে যুক্ত।
এছাড়াও ফেসবুক এবং মাই স্পেস নামক স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে তারা তাদের ভাবনা ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছে বলছে জানা গিয়েছে।
কিন্তু আকসা স্কুলের মত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন যে হিজব-উত-তাহির পরিচালিত সন্মেলনটি আসলে একটি বাজারের মতো যেখানে দোকানীরা নানা জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন।
কিন্তু প্রাক্তন সদস্য ইসতিয়াক হোসেন স্বীকার করেছেন যে এটি একটি চরমপন্থী সংগঠন হিসাবে নিজেদের তৈরি করছে।
আমেরিকার বুকে বসে এমন ঘটনা আমেরিকা যে বরদাস্ত করবেনা তা বলাইবাহুল্য।

No comments:

Post a Comment