

ভারতের কাছে চীন ও পাকিস্থান অক্ষশক্তি কতটা বিপদের হতে পারে তা আন্দাজ করা দরকার। চীন ও পাকিস্থানের দহরম মহরমের ক্ষেত্রে নেপাল হচ্ছে অনুঘটক। কেন এই কথা বলছি? চীনের বর্ষীয়ান নেতা লিউ হারকাই দফায় দফায় নেপাল সফর করেছেন।বেজিং এর নেতৃত্ব নেপালে অর্থ ও কারিগরী দক্ষতা দরাজ হাতে দিচ্ছে।নেপালের পরিকাঠামো উন্নয়নে চীনের দরাজ হাতে সাহায্য পূর্বতন মাওবাদীদের হাত শক্ত করেছে।ভারত প্রসঙ্গে চীনকে নেপালের পূর্বতন মাওবাদী প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহল ওরফে প্রচন্ড বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন।
ভারতের বিদেশ সচিব শিবশঙ্কর মেনন সবই জানেন। কূটনৈতিক কারণে নেপালে চীনের উপস্থিতি নিয়ে জনসমক্ষে উচ্চবাচ্য করছেননা।কিন্তু তা বলে তো বিপদআর অপেক্ষা করে থাকেনা। প্রতিমুহুর্তেই শক্তিসঞ্চার করে।
সুযোগ বুঝে পাকিস্থানো এর ফায়দা নিচ্ছে। চীনের সঙ্গে পাকিস্থানের পুরোন দোস্তি। ভারতকে কোণঠাসা করতে “ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে”।
চীন এই সুযোগকে হাতছাড়া করেনি। পারমাণবিক অস্ত্র-শস্ত্র থেকে মিসাইল-সব কিছু দিয়ে সাহায্য করছে পাকিস্থানকে। পরিবর্তে চীনের জন্য দেশের সমস্ত রাস্তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।চীনের জন্য দেশের এক একটি প্রান্তে নির্মাণ করে চলেছে বন্দর। এটি কি প্রতিদান না ভারত কে বেকায়দায় ফেলবার কৌশল!
পাকিস্থান, নেপাল হাতের মুঠোয়। এবার চীন চলল পূর্ব আফ্রিকার উপকূলবর্তী দেশগুলির দিকে। লক্ষ্য জলে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলা। দেশের উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য মালদিভ, মরিসাসের জন্য বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেছে তারা।লক্ষ্য-ভারত মহাসাগরে ঘাঁটি গড়ে তোলার কাজ সম্পূর্ণ করা।
ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে তারা। দক্ষিণ চীন সাগরে তারা নির্মান করেছে সাবমেরিন ক্ষেত্র। যেটি বঙ্গোপসাগরের খুবই নিকটে।
কুটনৈতিক দিক দিয়েও এগিয়ে চলেছে চীন। পাশে পাকিস্থান। লক্ষ্য ভারতের শক্তি খর্ব করা। সন্মিলিত জাতিপুঞ্জের সিকিঊরিটি কাউন্সিলের সদস্যপদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধা দান করছে তারা। যাতে ভারত কোনদিন এর স্থায়ি সদস্য হতে না পারে।ষড়যন্ত্র চলছে বাইরে। কিন্তু ঘৃতাহুতি আসছে দেশের ভেতর থেকেই। রাজনৈতিক দলগুলি এগুলি নিয়ে নিরুত্তাপ।উল্টে সি পি এমের মত বামপন্থী দলগুলি চীন কে সমর্থন করে চলেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়াটা বামপন্থীরা আর কবে শিখবে?
No comments:
Post a Comment