

ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের, কিন্তু বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দিল্লীতে। অবাক হবার কিছু নেই, কারণ এটি সিপিএমের নেতৃত্বদের কাছে প্রথম অভিজ্ঞতা নয়।
এবার লালগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে দিল্লীতে বিক্ষোভের মুখে পড়ল সি পি (আই)এম। প্রায় দুবছর আগে নন্দীগ্রাম নিয়েও একই রকম বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তারা। গত মঙ্গলবার সেই একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটল। এবারেও বিক্ষোভকারীদের ভূমিকায় সেই নক্সালপন্থীরাই।
লালগড় আধিবাসীদের উপর যৌথবাহিনীর অভিযানের বিরুদ্ধে নক্সালপন্থীরা সিপিএমের সদর দফতর একে গোপালন ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তিনটি সংঠন গুলির মধ্যে ছিল “রেভিলিউশানারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট,আরভি এফ,নওজয়ান ভারতসভা প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন ও জওহরলাল নেহুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটে দুপুর ১২ টা নাগাদ। পুলিশ আগের থেকে খবরটা জানতে পেরেই সকাল থেকে গোলমার্কেটের সামনে এ কে জি ভবন ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া সত্বেও সিপিএম দফতরের সামনে বিক্ষোভকারীরা প্ল্যার্কাড,পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে।
সেখানে হাজির ছিলেন পলিটব্যুরোর কয়েকজন সদস্য এবং চলছিল গুরুত্বপুর্ন আলোচনা। ঠিক তখনই বিক্ষোভকারীরা সিপিএম “মুর্দাবাদ” বলে চিৎকার শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে। পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পোষ্টারে লেখা ছিল লালগড়ের সাধারণ মানুষের অত্যাচারের কথা। মন্দিরমার্গ থানার পুলিশা এদের মধ্যে থেকে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পূর্বের ঘটনার পরেই পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল গোপালন ভবনের সামনে। তারপরে গত কয়েকমাসে পুলিশের ঘেরাটোপ থেকে অনেকটাই মুক্ত হয়েছিল এই ভবন। কিন্তু কে জানত! নন্দীগ্রামের স্মৃতি নিভতে না নিভতেই এই ভবনের শান্তি বিঘ্নিত করতে প্রস্তুত হয়েছিল এই লালগড়।
No comments:
Post a Comment